সমর্থকদের আশা ছিল অনেক। কিন্তু সব আশা হতাশার রূপ নিল। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে লজ্জার হার ভারতের। সিরিয়ার বিরুদ্ধে ০-৩ গোলে হারতে হল মানোলো মার্কেজের দলকে।
প্রথম ম্যাচে দুর্বল মরিশাসের বিরুদ্ধে জিততে পারেনি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাটিতে দ্বিতীয় ম্যাচে সিরিয়ার কাছে হেরে খেতাব হারাতে হল। প্রথমবারের জন্য এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল সিরিয়া।
সোমবার গাচিবাউলি স্টেডিয়ামে সাত মিনিটের মাথায় সফরকারী দলকে এগিয়ে দেন আল আসওয়াদ। পাঁচ মিনিটের পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল সিরিয়া। কিন্তু সিরিয়ার ফুটবলারের দূরপাল্লার জোরালো শট বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত সিং। তারপরেও বলের দখল ছিল সিরিয়ার ফুটবলারদের পায়ে। বল বেশিরভাগ সময় ঘুরছিল ভারতের অর্ধে। ভারত প্রথম ইতিবাচক আক্রমণে ওঠে ম্যাচের ২৬ মিনিটে। ২৬ মিনিটে বক্সে বল রাখেন নন্দা কুমার। কিন্তু ভারতের কোনও ফুটবলার সেই বলের কাছে পৌঁছানোর আগেই তা তালুবন্দি করে নেন সিরিয়ার গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল সিরিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল শোধের মরিয়া প্রচেষ্টা করতে থাকে ভারত। দলের হয়ে দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন দলের তারকা ছাংতে ও নন্দা। ৭৬ মিনিটে আবার গোল হজম করতে হয় ভারতকে। সিরিয়ার হয়ে ব্যবধান বাড়ান দালেহো। পরিবর্ত হিসেবে নেমে নজর কাড়েন ভারতের এডমুন্ড। তাঁর নেওয়া একটি দূরপাল্লার শট বাঁচিয়ে দেন সিরিয়া গোলরক্ষক। সংযুক্তি সময়ে লিস্টনের শট ক্রসবারে লেগে ফেরে। তার কিছুক্ষণ পর তৃতীয় গোল পায় সফরকারী দল। পাবলোর গোলে জয় ও ট্রফি দুটি নিশ্চিত করে সিরিয়া।
ঘরের মাটিতে তিন দলের আন্তর্মহাদেশীয় কাপে তিন নম্বরে শেষ করল ভারত। হারাতে পারেনি ফিফা ক্রমতালিকায় ১৭৯ নম্বরে থাকা মরিশাসকে। দলে একজন দক্ষ স্ট্রাইকারের অভাব দিনের আলোর মত স্পষ্ট। সুনীলের যোগ্য উত্তরসূরির সন্ধান ভারত এখনও পায়নি। গোলরক্ষক হিসেবে গুরপ্রীত এখনও বেশ নড়বড়ে। এদিনের গোল হজম করার পিছনে দায় তাঁরও রয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতে নিজের দ্বিতীয় ইনিংসটা সুখকর হল না স্প্যানিশ কোচের।