আজ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের নবম দিন।রাশিয়ার হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে আটকে রয়েছে হাজার হাজার ভারতীয় নাগরিক। তাই একের পর এক ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে ভারত সরকার। পুরুলিয়া জেলার নিতুরিয়া থানার অন্তর্গত পারবেলিয়া এলাকার বাসিন্দা পিন্টু কুমার পাশওয়ান ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যান। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তিনি আটকে ছিলেন সুদূর ইউক্রেনে।এদিন ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরলেন পারবেলিয়ার বাসিন্দা পিন্টু কুমার পাশওয়ান। বাড়ি ফেরায় খুশি তার পরিবারের সদস্যরা।
অন্যদিকে, তিন বছর আগে ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেন গিয়েছিল সোদপুর গীর্জা এলাকার ঋত শাহ, ইউক্রেনে যুদ্ধের সময় আতঙ্কে দিন কাটছিল তার। গতকাল রাতে ইউক্রেন থেকে বিমানে করে ফেরেন তিনি। বাড়িতে ফিরে এসে ইউক্রেনে যুদ্ধের সময়কার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ডাক্তারী পড়ুয়া ঋত শাহ। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ঘরের মেয়ে ঘরে ফেরায় স্বভাবতই খুশী পরিবার।
শান্তিপুর থানার গবারচর তালতলা পাড়ার বাসিন্দা সমীর বিশ্বাস। পেশায় তাঁত শ্রমিক। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁতের কাজ বন্ধ থাকায় আর্থিক অনটনে ভুগছিল পরিবার। মাস ছয়েক আগে ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে ভারতের পতাকা হাতে নিয়ে কোনরকমে ভারতীয় সেনা কাপটার এর সহায়তায় দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে দমদম এয়ারপোর্ট তারপরে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে বাড়ি ফেরেন তিনি। টানা পাঁচ দিন প্রায় না খাওয়া অবস্থায় বিমানবন্দরে ঘুরে বেড়ানোর পর, চোখে মুখে আতঙ্ক নিয়ে ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরে যেন প্রাণ ফিরে পেলেন তিনি।