হিমালয়—আল্পসের বন্ধুত্ব! ভারতের পাশে সুইৎজারল্যান্ড। তবে এই দুঃসময়ে বিশ্বের সব দেশই পরস্পরের পাশে দাঁড়াতে চায়। হিংসা–হানাহানি ভুলে বন্ধুর মতো হাতে হাত রেখে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়তে চায়। আর গোটা বিশ্বের সামনে এখন শত্রু তো একটাই। নাম—করোনাভাইরাস। সন্ধ্যায় আলোকসজ্জায় ভেসে ওঠে ভারতের জাতীয় পতাকা। সুইস পর্যটন দপ্তর জারম্যাট থেকে সেই ছবি টুইট করে লেখা হয়েছে, এই দুঃসময়ে করোনাভাইরাসকে হারিয়ে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিতে এবং ভারতবাসীর মনে সাহস জোগাতেই এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই ছবি ফের টুইটারে শেয়ার করে ভারতের পাশে থাকার জন্য সুইশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে লিখেছেন, ‘বিশ্ব কোভিড–১৯ একসঙ্গে লড়ছে। মানবতা এই মহামারীর বিরুদ্ধে জিতবেই।’
আল্পস পর্বতের ম্যাটারহর্ন শৃঙ্গে আলোকিত করা হল ভারতীয় পতাকা। পাশাপাশি আমেরিকার পতাকাও আলোকিত হল এই পর্বতের শৃঙ্গে। অভূতপূর্ব এক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল বিশ্ববাসী। সুইৎজারল্যন্ড ও ইতালির সীমান্তে ম্যাটারহর্ন শৃঙ্গের চূড়ায় এই আলোর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন শিল্পী জেরি হফসটেটার। ওয়েবক্যাম—এর মাধ্যমে এই অসাধারণ দৃশ্য বিশ্ববাসীকে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জেনেভাতে ভারতীয় দূতাবাসের অফিসার গুরলিন কউর সেই ছবি টুইটারে শেয়ার করেন। ভারতীয় বনকর্মী গুরলিন কৌরও ওই ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘হিমালয় আর আল্পস্–এর বন্ধুত্ব।’
ইতালির সীমান্ত লাগোয়া পর্বতের উত্তর এবং পূর্ব অংশে সূর্যাস্ত থেকে প্রতি রাতে বিভিন্ন আলোকসজ্জায় সাজাচ্ছেন আলোকশিল্পী জেরি হফস্টেটার। তিনি জানান, প্রথমে নিজের দেশ সুইৎজারল্যান্ডের জাতীয় পতাকা, তারপর ইতালির জাতীয় পতাকা আলোকসজ্জায় আঁকা হয়েছিল আলপ্সের গায়ে। এছাড়া ‘বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন’, ‘একতা’, ‘আশা’ ধরনের উপদেশও লেখা হয়েছিল। রোজ সকালে উঠে শুনতে হচ্ছে নতুন করে বহু মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর। রোজই মারা যাচ্ছে মানুষ। এমন সময়ে মনোবল হারালে চলবে না। লকডাউন পালন করতে হবে। লড়তে পারলে আশার আলো দেখা যাবে ঠিক। এই বার্তা দিতেই এমন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল সুইৎজারল্যান্ড। গোটা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে গেল এই প্রদর্শনী।
