Nepal officially try to change their country map. According to that map they occupy some Indian area like Lipulake, Kalapani, Limpiyadhura.
আন্তর্জাতিক ব্রেকিং নিউজ

ভারতীয় ভূখণ্ড নেপালের মানচিত্রে!‌

চিনকে এখনও উচিত শিক্ষা দেওয়া যায়নি। পাকিস্তান পেছনে লেগেই রয়েছে। এবার তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে নেপালও। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে অতিরিক্ত আমেরিকা নির্ভর হয়ে পড়তে। যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের এবং বালাকোট স্ট্রাইকের কথা ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল, তেমন কোনও পদক্ষেপ চিনের ক্ষেত্রে করা হচ্ছে না কেন?‌ এই প্রশ্ন উঠছে। নেপাল কী চিনের সমর্থন পেয়ে ভারতের পেছনে লাগতে শুরু করল?‌ কারণ ভারতীয় ভূখণ্ডকে জুড়ে নিয়েই নতুন একটি মানচিত্রে সিলমোহর দিতে চলেছে নেপালের সংসদ। ক্ষমতাসীন বামজোট এই বিল পেশ করার পর তাতে সায় দেবে বলে জানিয়েছে বিরোধী নেপালি কংগ্রেস।
দেশের নতুন মানচিত্র নিয়ে নতুন পদক্ষেপ নিল নেপাল সরকার। আজ নেপালের সংসদে আনা হচ্ছে সংবিধান সংশোধনী বিল। বিলটি পাস হয়ে গেলে লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরার মতো এলাকা নেপালের মানচিত্রে সাংবিধানসম্মতভাবে ঢুকে যাবে। ফলে ভারত–নেপাল সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠবে। নেপালি সংসদ আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিলটি পাস করাতে বেশ কয়েকটি বিকল্প প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে পারে বলে সূত্রের খবর। বিলটি পাস করাতে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধীরা বিলে সমর্থনের বার্তা দেওয়ায় আর কালবিলম্ব করতে চাইছে না কেপি শর্মা ওলির সরকার।
কালাপানি–সহ ওই তিনটি এলাকার ওপর দিয়ে উত্তরাখণ্ড থেকে মানস সরোবর পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করছে ভারত। তাতেই বাধ সেধেছে নেপাল। এমনকী তাদের দাবি, কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পুয়াধুরা নেপালের এলাকা। তারা নেপালের নতুন মানচিত্রও তৈরি করে ফেলেছে। সংসদে তা পাসও করিয়ে নিয়েছে। কিন্তু শেষ ধাপে প্রয়োজন সংবিধান সংশোধন। সেই বিলই আজ আনা হচ্ছে। সেখানে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, ‘‌কোনও প্রতিবেশী দেশের এই জাতীয় কৃত্রিম সম্প্রসারণ ভারত গ্রহণ করবে না। নেপাল এই বিষয়ে ভারতের ধারাবাহিক অবস্থান সম্পর্কে বেশ ভালভাবেই অবহিত এবং আমরা নেপাল সরকারকে এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অনুরোধ করেছি।’‌