করোনার জেরে এবার রেস্তোঁরায় লালবাতি জ্বলার উপক্রম হল। কারণ পূর্ব লন্ডনের সবচেয়ে পুরনো রেস্তোঁরা হালাল। ১৯৩৯ সালে হোয়াইটশ্যাপেলে এই রেস্তোঁরাটি খোলা হয়। এখানকার ইন্ডিয়ান কারি এত বছর ধরে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। লন্ডনে বসবাসকারী ভারতীয়রা তো বটেই ইংরেজদেরও অন্যতম পছন্দের ফুড ডেস্টিনেশন ছিল হালাল রেস্তোঁরা।
কিন্তু করোনার জেরে হঠাৎ ছবিটা বদলে গেল। দীর্ঘ লকডাউন চলে ইংল্যান্ডেও। সংক্রমণের ভয়ে বহু মানুষই রেস্তোঁরায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া ত্যাগ করেন। ফলে ক্রমাগত ক্ষতির মুখে শেষ পর্যন্ত কি তাহলে বন্ধ করে দিতে হবে সবচেয়ে পুরনো ভারতীয় রেস্তোরাঁ? স্তব্ধ হয়ে যাবে এত বছরের ঐতিহ্য? এখন এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে হালাল রেস্তোঁরাকে কেন্দ্র করে।
তবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন জানান রেস্তোঁরার মালিকের মেহনাজ। মেহনাজ জানান, তাঁর বাবার হালাল রেস্তোঁরা খদ্দেরের অভাবে রীতিমত ধুঁকছে। যে ইন্ডিয়ান কারির জন্য এই রেস্তোঁরা প্রসিদ্ধ, তা এখনও খদ্দেরের অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে। পূর্ব লন্ডনের এই সবচেয়ে পুরনো রেস্তোঁরার প্রতি কিছু ভালোবাসা প্রদর্শন করতে সবার কাছে অনুরোধ করেন তিনি।
এদিন টুইটারে রেস্তোঁরার ভেতরের দুটি ছবি পোস্ট করেন মেহনাজ। এক, ৭০ দশকে রেস্তোঁরার একটি চেয়ারে বসে মেহনাজের দাদুর ছবি। দুই, রেস্তোঁরার প্রায় একই জায়গায় একই ভঙ্গিতে বসা মেহনাজের বাবার বর্তমান ছবি। তাঁর দাদুর আমল থেকে বাবার আমলে এসে রেস্তোঁরার অন্দরসজ্জায় কিছু বদল হয়েছে। ট্যুইটে এই রেস্তোরাঁর ঠিকানাও উল্লেখ করেছেন তিনি। হালাল রেস্তোরাঁ লন্ডনের অনেক ফুড ডেলিভারি অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত। মেহনাজের আবদনের পরে হালাল থেকে অনলাইন অর্ডার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলে পরে আরও একটি ট্যুইট করেন মেহনাজ। আর সবাইকে ধন্যবাদও জানান।