দেশ

ট্রেনেই একবেলায় দিল্লি? ১৬০ কিমি গতিতে ট্রেন চালাতে লাইনের ধারে পাঁচিল

যত সময় যাচ্ছে ততই দ্রুতগতির ট্রেন চালাতে মরিয়া রেলমন্ত্রক। মুম্বই-আহমেদাবাদ রুটে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ জোরকদমে চললেও রেল তাঁর নিজস্ব নেটওয়ার্কে দ্রুতগতির ট্রেন চালাতে চায়। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে ১৮০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিতে ট্রেন চালিয়েছেন ভারতীয় রেল। এবার তা প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিল রেলমন্ত্রক। জানা যাচ্ছে, হাওড়া-নিউ দিল্লি রেললাইনের দুই পাশে পাঁচিল দিতে চাইছে তাঁরা। ফলে ওই রুটে সেমি হাইস্পিড ট্রেন চালাতে পারবে নির্বিঘ্নে। পুরো প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিশন রফতার’।

এই ব্যাপারে রেলের পরিকল্পনা কি? রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, রেললাইনের দুই পাশে উঁচু পাঁচিল তুলে দিতে পারলেই দ্রুতগতিতে ট্রেন চালাতে কোনও অসুবিধা হবে না। কারণ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলা ট্রেনের সামনে কিছু এসে পড়লে তৎক্ষণাৎ ট্রেন থামানো সম্ভব নয়। এতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। যেমন লাইনের ওপর যদি গরু-মোষ বা কোনও যানবাহন এসে পড়ে গতির ফলে দুর্ঘটনা অনিবার্য। তাই লাইনের দুই পাশে উঁচু পাঁচিল তুলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চায় রেল। ফলে বিনা বাধায় ছুটতে পারবে দ্রুতগতির ট্রেন।

রেলের পরিকল্পনা মিশন রফতার প্রকল্পে হাওড়া-নিউ দিল্লি রুটে ঘন্টায় ১৬০ কিমি গতিতে ট্রেন চালানো হবে। এতে গন্তব্যে পৌঁছনোর সময় অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। রেল কর্তাদের দাবি, হাওড়া থেকে নয়া দিল্লি যেতে রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেনে সময় লাগে ১৬-১৭ ঘন্টা। ঘন্টায় ১৬০ কিমি গতিতে ট্রেন চালাতে পারলে এই সময় কমে আসবে ১০-১১ ঘন্টায়। ফলে এক বেলার মধ্যেই হাওড়া থেকে দিল্লি পৌঁছে যেতে পারবেন। তবে মিশন রফতার’ প্রকল্পে শুধু হাওড়া-নিউ দিল্লি রুট নয়, মুম্বই-নিউ দিল্লি রুটেও লাইনের দু’ধারে উঁচু পাঁচিল তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়াও লাইন ও সিগন্যালের উন্নতিসাধন, টেলি যোগাযোগ সহ সমস্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে হাওড়া থেকে ধানবাদ ২৪৮ কিলোমিটার রেলপথের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হবে। পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগেই। আর তার পরেই ১৮০ কিমি গতিতে ছুটবে রাজধানী, দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেন।