সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। এবার তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে বন্দর ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির প্রথম ভারতীয় পণ্য নিয়ে আসা জাহাজটি মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছবে। ফলে দুই দেশের কাছেই সেটা খুশির খবর। করোনার জেরে পণ্য আদানপ্রদান বন্ধ ছিল। ফলে মার খাচ্ছিল বাণিজ্য। এবার সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই জাহাজে থাকা চারটি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর কাভার্ড ভ্যানে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে ভারতের ত্রিপুরা ও অসম যাবে। বাংলাদেশ–ভারতের বন্ধু দেশ। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়াতে কোনও আপত্তি নেই। বরং তাতে বাণিজ্য সুদৃঢ় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রবিবার ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে ছেড়ে আসা এমভি সেঁজুতি নামের জাহাজটিতে মোট ২২১টি কন্টেইনার রয়েছে। তার মধ্যে ১১৭টি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। অপর চারটি কন্টেইনার পরীক্ষামূলকভাবে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
এই ট্রান্সশিপমেন্ট হচ্ছে তৃতীয় একটি দেশের বন্দর ও পরিবহন ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে প্রতিবেশী বা অন্য কোন দেশের পণ্য পরিবহন করা। ফলে কোন একটি দেশ তাদের পণ্য তৃতীয় একটি দেশের বন্দর, সড়ক বা রেল অর্থাৎ যানবাহন ব্যবহার করে নিজের দেশের আর এক অংশে বা অন্য কোন দেশে পাঠিয়ে থাকে। তার জন্য তাদের সব খরচ বহন করতে হয়। পরীক্ষামূলকভাবে নিয়ে আসা প্রথম জাহাজের দুই কন্টেইনারে রয়েছে লোহার বার এবং দুই কন্টেইনারে ডালজাতীয় পণ্য রয়েছে। লোহার বার যাবে ভারতের ত্রিপুরায় আর ডালবাহী কন্টেইনার যাবে অসমে।