মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ ঢাকা সফরে এলেন ভারতের বিদেশসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। বুধবার সকালে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তাঁর সফরসঙ্গী হিসাবে রয়েছেন ভারতের বিদেশ দপ্তরের যুগ্ম সচিব স্মিতা পন্থ। প্রতিবেশী দেশের বিদেশসচিবের সফর নিয়ে ঢাকা ও দিল্লি দুই পক্ষেই রাখা হয়েছে গোপনীয়তা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, করোনা আবহে কী এমন দরকার পড়ল ঢাকা যাবার?
জানা গিয়েছে, ঢাকা সফরে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে বাংলাদেশের বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন। বিদেশমন্ত্রী, বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এবং বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে শ্রিংলার। তবে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার আজকের ঢাকা সফরের বিষয়ে কোনও পূর্ব ঘোষণা হয়নি। মুজিববর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর উদযাপন নিয়ে দুই দেশের বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে। আগামী বছর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর উদযাপন নিয়েও বেশ কিছু কর্মসূচি নিচ্ছে দুই দেশ। যা চূড়ান্ত করা হবে শ্রিংলার সফরে।
কূটনৈতিক সূত্রে খবর, করোনার আবহেই ভারত–বাংলাদেশ অন্যান্য সব যোগাযোগ ব্যবস্থায় সাময়িক বিরতির পর নিত্যপণ্য সরবরাহের বেলায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। কিন্তু উভয় দেশ বিকল্প পদক্ষেপের মাধ্যমে তা নিরসন করে। উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার ফোনালাপ করেছেন। করোনা মোকাবিলায় একে অন্যকে কীভাবে সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে এই বিষয়টির পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে শ্রিংলার ঢাকা সফরে।
