বাংলাদেশ

বাংলাদেশের কারাগারে মৃত্যু ভারতীয়র

বাংলাদেশের কারাগারে মৃত্যু হল ভারতীয় নাগরিকের। অবৈধভাবে পদ্মাপারে প্রবেশ করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁর সাজার মেয়াদ শেষ হলেও দুই দেশের মধ্যে আইনি জটিলতার দরুন জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ভারতীয় নাগরিক সমীরের (৩০) মৃত্যু হয়েছে। সকালে স্নানে গিয়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়। উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলার গাইশ্রী থানার জুনেতাপুর শ্রীনগরের ধনেন্দ্র নাথের ছেলে সমীর। এই বিষয়ে যশোর কারাগারের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তুহিন কান্তি খান জানান, সমীর রাঙামাটি জেলার ভারত সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। পুলিশ তাঁকে আটক করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২০০৯ মার্চে সমীরকে একবছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এরপর তিনি ফেনি কারাগারে ছিলেন। ফেনি থেকে সমীরকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাঁর সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে দেশে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারকে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নয়াদিল্লির জবাব আসেনি। ফলে কোনও সাড়া না মেলায় তাঁকে বাধ্য হয়ে কারাগারেই বন্দি রাখা হয়। এদিন সকালে স্নান করতে গিয়ে আচমকা তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। যশোর জেনারেল হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, সমীরকে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশের জেলে দুই দেশেরই বহু বন্দি রয়েছে। তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হলেও লাল–ফিতের জটে ঘরে ফেরা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার দায়ী করে এসেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। সেই অভিযোগ যে মিথ্যা নয় তা ফের এক কয়েদির মৃত্যু প্রমাণ করল।