সীমান্তে চোখ রাঙায় লালফৌজ। আবার চলে চিনা সেনার টহল থেকে ওড়ে লালফৌজের কপ্টার। সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন করতে একাধিকবার আলোচনার টেবিলে মুখোমুখি ভারত–চিন। চলেছে দফায়–দফায় বৈঠক। দু’দেশের দ্বাদশ বৈঠকে সীমান্ত বিবাদের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু গোগরা থেকে ফৌজ সরাতে রাজি হয়েছে ভারত–চিন। তবুও ভরসা নেই লালফৌজের। তাই পূর্ব লাদাখে জওয়ানদের প্রস্তুতিতে কোনওরকম খামতি রাখতে চায় না ভারতীয় সেনাবাহিনী।
পূর্ব লাদাখে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। গলওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল হয়ে ওঠে প্যাংগং হ্রদ এলাকায়। সেখানেই অল্পের জন্য যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পায় পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক সেনা আধিকারিক জানান, এক বছর আগে চিনা আগ্রাসন রুখতে অপরাশেন স্নো লেপার্ড শুরু করেছিল ভারতীয় সেনা। পূর্ব লাদাখের ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় একবছরের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছে টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক এবং টি-৭২ অজয় ট্যাঙ্কগুলি। প্রায় -৪৫ ডিগ্রি ঠাণ্ডাও সেগুলিকে কাবু করতে পারেনি। এই কঠিন আবহাওয়ায় আমরা নিজেদের কর্মক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে নিতে পেরেছি।
ইতিমধ্যে চিন সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে মহড়াও সেরেছে এই ভীষ্ম ট্যাঙ্ক। শুধু তাই নয়, শীতকালে ট্যাঙ্কগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। কারণ প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সেগুলির যন্ত্রপাতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। লাদাখে চিন সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের হাতে অত্যাধুনিক আমেরিকান রাইফেল এবং সুইস পিস্তল তুলে দেওয়া হয়েছে।
যে ধরনের রাইফেল এবং পিস্তল ফরওয়ার্ড বেসে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তা পার্বত্য অঞ্চলে যুদ্ধের অত্যন্ত উপযোগী বলে মনে করা হচ্ছে। চিনকে চাপে রাখতেই সেনাবাহিনী যে এই অস্ত্রের সম্ভার বাড়াচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অত্যাধুনিক আমেরিকান সিগ সওয়ার ৭১৬ রাইফেল তুলে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় সেনার হাতে। সঙ্গে রয়েছে সুইস এমপি-৯ পিস্তল। রাইফেলগুলির ফায়ারিং রেঞ্জ প্রায় ৫০০ মিটার।
You must be logged in to post a comment.