কিছুদিন আগে বাংলাদেশ বলেছিল ভারতের সঙ্গে রক্ত–ঋণের সম্পর্ক। আর আজ ভারত জানিয়ে দিল ভারতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু হলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা বাংলাদেশে পাঠানো হবে। পদ্মাপারে দাঁড়িয়ে ঢাকায় এই আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের বিদেশসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। আর তারপর থেকেই বাংলাদেশ যেন নয়া আনন্দে মেতে উঠেছে।
ঝটিকা সফরে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব। ঢাকায় সে দেশের বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, করোনার টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ভারত অ্যাডভান্সড পর্যায়ে রয়েছে। আর অতীতের মতো করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও ঢাকাকে সমস্ত সহায়তা করবে নয়াদিল্লি। শ্রিংলার কথায়, ‘ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে আমাদের বন্ধু, সহযোগী এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পাঠানো হবে। আর বাংলাদেশ আমাদের কাছে সবসময় অগ্রাধিকারের তালিকায় আছে।’
বাংলাদেশের সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে ভারতকে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভারত এই প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। ভারতের বাজারে মিলতে পারে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আবিষ্কৃত করোনার ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনের ম্যানুফ্যাকচারিং পার্টনার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। দেশে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় করে সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসে, লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘তিনটি ভ্যাকসিন পরীক্ষার তিনটি স্তরে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা ছাড়পত্র দিলেই ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হবে।’