ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে নজির তৈরি হল। হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমোনেস্ট্রেটর ভেহিক্যালের সফল পরীক্ষা করল ভারত। এটা দেশের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে বড় সাফল্য। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং রাশিয়ার পর ভারতের হাতে চলে এল এই প্রযুক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’–এর স্বপ্নে আরও একধাপ এগিয়ে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই ভেহিক্যাল তৈরি হয়েছে।
সোমবার ওড়িশার বালাসোরের এপিজে আবদুল কালাম টেস্টিং রেঞ্জ থেকে হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমোনেস্ট্রেটর ভেহিকেলের সফল পরীক্ষা সেরে ফেলল ভারত। এই ভেহিকেলে দেওয়া হয়েছে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন। শব্দের থেকে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে কাজে লাগবে এই প্রযুক্তি। সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে সব চাহিদা পূরণ করবে এই প্রযুক্তি। যা দেশের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নিয়ে ডিআরডিওকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই ভেহিক্যালে ব্যামজেটের থেকে উন্নত স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন ব্যবহার হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের গতি অন্তত ৬ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে এই প্রযুক্তি। টুইটে রাজনাথ লিখেছেন, যুগান্তকারী এই কৃতিত্বের জন্য আমি ডিআরডিও–কে অভিনন্দন জানাই। এই সাফল্য প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত মিশনকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।
এই প্রযুক্তি একটি বড় দিক হল এটি ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্রের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি খুব কম খরচে রকেট উৎক্ষেপণও করা যাবে। ক্ষেপণাস্ত্রের গতি অন্তত ৬ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে এই প্রযুক্তি। ডিআরডিও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অত্যন্ত জটিল প্রযুক্তি নির্ভর হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমোনেস্ট্রেটর ভেহিক্যালের সফল পরীক্ষা হয়েছে। সামরিক অস্ত্র তৈরির যে কোনো জটিল প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তিতে ভারত কোনও অংশে কম নয়।
