আন্তর্জাতিক

রাষ্ট্রপুঞ্জে বাদানুবাদ ইসলামাবাদ–নয়াদিল্লির

কৌশলে কাশ্মীর ইস্যু তুলে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে বাজিমাত করতে গিয়েছিল পাকিস্তান। জবাবে ভারতের পক্ষে থেকে জোরালো থাপ্পড় খেল বিশ্বের মাটিতে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, পাকিস্তানের আস্পর্ধা এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। কারণ তারা অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে আর নিজেরা রাষ্ট্র পরিচালিত নাশকতা করে। পাকিস্তানকে কার্যত তুলোধনা করেন ভারতের ‘স্থায়ী মিশনের’ প্রথম সচিব সেনথিল কুমার। অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপে লঙ্ঘিত হচ্ছে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার। এই অভিযোগে ইসলামাবাদ সরব হলে প্রত্যুত্তরে দিল্লি জানায়, নিজের দেশ নিয়ে অন্তর্দর্শন করুক পাকিস্তান। ওরা মানবাধিকার লঙ্ঘনকে রীতি করে ফেলেছে।
সেনথিল কুমার অভিযোগ করেন, পাকিস্তান বারবারই মানবাধিকার পরিষদের মঞ্চকে অপব্যবহার করেছে। মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করে ভুল পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করেছে। এটা দুর্ভাগ্যের। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ পাকিস্তান, যারা গণহত্যায় রাষ্ট্রকে মদত জোগায়। তারা আবার কীভাবে অন্য দেশের সমালোচনা করার স্পর্ধা পায়! যে দেশের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সে দেশ মানবাধিকার ও আত্মপ্রত্যয় নিয়ে কথা বলে।
সেনথিল কুমার বলেন, ধর্মনিন্দা আইনে সংখ্যালুঘদের উপর অত্যাচার অব্যাহত পাকিস্তানে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সিন্ধে দুই হিন্দু মেয়ে, লাহোরে এক খৃস্টান মেয়ে, চালেকিতে এক আহমাদি মহিলা, খারিপুরে দুই অধ্যাপকের হত্যার ঘটনা তুলে ধরেন। বালুচিস্তানে সেনা অভ্যুত্থান, গণহত্যা, ডিটেনশন ক্যাম্প, সেনার চোখরাঙানি নিত্যদিনের ঘটনা।