বাংলাদেশ

বাংলাদেশে ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ পাঠাচ্ছে ভারত

ঋণ শোধ?‌ নাকি রক্ত ঋণের সম্পর্কের প্রতিশ্রুতির ফসল?‌ এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে। কারণ সংকটকালে বাংলাদেশকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে। নয়াদিল্লি–ঢাকার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর এই খবর মিলেছে। এই পরিমাণ পেঁয়াজ জরুরি ভিত্তিতে রপ্তানির সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে।
শনিবার থেকেই এইসব পেঁয়াজ দিনাজপুরের হিলি–সহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে চলেছে বাংলাদেশে। সরকারি একটি সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বন্ধুদেশের প্রতি সৌজন্যমূলক পদক্ষেপ হিসেবে ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে তা রপ্তানির জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকেই ২০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে পদ্মাপারে।
ভারতের বাজারে পেঁয়াজ সংকট। তাই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ। কিন্তু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই পেঁয়াজবোঝাই কয়েকশো ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন স্থলবন্দরের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। অবশেষে পেঁয়াজ–বোঝাই ট্রাক ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি দেয় ভারত। দেশের বাইরে রপ্তানির জন্য এত সংখ্যক পেঁয়াজ সাম্প্রতিককালে পাঠানো হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
বাংলাদেশও কথা রেখে বর্ষার মরশুমের বদলে পুজোর আগে পাঠিয়েছে প্রচুর পদ্মার ইলিশ। তার পরপরই পেঁয়াজ রপ্তানিতে কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত জেনে বাংলাদেশের আক্ষেপ ছিল, ইলিশ দিয়েও পেঁয়াজ মিলছে না। এটা চুক্তির শর্তভঙ্গ হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই আক্ষেপ অবশেষে কাটল। দিল্লির বাণিজ্য মন্ত্রক একটি নোটিশ জারি করে জানিয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের আগে এলসির বিপরীতে টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। শনিবার থেকে পেঁয়াজ–বোঝাই ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করবে।