দেশ ব্রেকিং নিউজ

কেন্দ্রীয় রিপোর্টে ৬৪ লক্ষ!‌

দেশে গত মে মাসের মধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৪ লক্ষ মানুষ। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের সমীক্ষার রিপোর্টে তেমনই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। আইসিএমআরের করা ওই সেরো সমীক্ষার ফলাফল ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের প্রাপ্তবয়স্কদের জনসংখ্যার ০.৭৩ শতাংশ করোনায় সংক্রমিত হয়ে আবার সেরেও উঠেছেন। তাও আবার নিজেদের অজান্তেই।
এই সমীক্ষার জন্য ১১ মে থেকে ৪ জুনের মধ্যে দেশের ২১টি রাজ্যের ২৮,০০০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (৪৩.৩%)। পরের ধাপে রয়েছে ৪৬ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা (৩৯.৫%)। সবচেয়ে কম ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের (১৭.২%) করোনা সংক্রমণ হয়ে তা নিজে থেকেই সেরে উঠেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মোট ৬৪,৬৮,৩৮৮ জন।
জার্নালে বলা হয়, সেরো পজিটিভ হওয়ার হার এক শতাংশেরও কম। এই ফলে প্রমাণিত যে ভারত এখনও অতিমারির শুরুর দিকে রয়েছে আর জনসংখ্যার একটা বড় অংশেরই করোনায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এখনও পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশেরই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সমীক্ষা করা হয়েছিল চার মাস আগে। বর্তমান পরিস্থিতি আরও অনেকটাই বদলাতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ দেশে সেরো পজিটিভ হওয়ার হার আরও অনেকটাই বাড়তে পারে।
এই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, মে এবং জুন মাসের মধ্যে করোনা সংক্রমণ গ্রামীণ ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন দেশের বড় শহর থেকে ছোট শহর এবং গ্রামগুলিতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক আকার নেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের গ্রামগুলিতে করোনার ভয়াবহতা নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আলাদা করে সেরো সমীক্ষা করে চলেছে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার এবং বেসরকারি ল্যাবগুলি। কলকাতায় ২৬ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, দিল্লিতে ৩০ শতাংশের কিছু কম। মহারাষ্ট্রের পুনেতে ৫২ শতাংশের মানুষ নিজেদের অজান্তে করোনায় সংক্রমিত হয়ে সেরে উঠেছেন বলেও জানানো হয়েছে।