শনিবার যে হুঁশিয়ারি চিনকে দেওয়া হয়েছিল সেই মতোই কাজ করতে শুরু করল ভারত। এবার লাদাখের পূর্বাংশে যুদ্ধবিমান প্রতিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে ভারত। গলওয়ান পরিস্থিতির জেরে আকাশপথে চিনের সম্ভাব্য কোনও হামলা রুখতে এবার ভূমি থেকে আকাশমুখী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে। পাহাড় জুড়ে এখন সমরসজ্জার আয়োজন চলছে। ৪৫ লক্ষ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে পূর্ব লাদাখে। চিন কোনওরকম আগ্রাসন দেখালেই পাল্টা দেওয়ার ঘুঁটি সাজানো চলছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, চিনের যুদ্ধবিমানের কোনও হটকারিতা রুখতে ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার আকাশমুখী ক্ষেপণাস্ত্র বসানো হচ্ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শক্তি বাড়িয়েছে চিন। সুখোই–৩০ এর মতো যুদ্ধবিমান এলএসি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন দৌলতবেগ ওল্ডি সহ বেশ কিছু সীমান্ত এলাকার পাশ দিয়ে চপার উড়িয়ছে চিন। সীমান্তের কাছে নিয়ে এসেছে বোমারু বিমান। পাল্টা চাল দিল নয়াদিল্লিও। পূর্ব লাদাখে পাঠানো হল ক্ষেপণাস্ত্র। পিছিয়ে নেই ভারতও। ফরওয়ার্ড বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও খবর। আকাশপথে তৎপরতা দেখাতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছে চিনুক কার্গো, অ্যাপাচে, পি–৮ সার্ভেইলেন্স এয়ারক্র্যাফ্টের মতো একাধিক সামরিক হেলিকপ্টার। তার মাধ্যমে বিপুল সেনা ও রসদ মজুত শুরু হয়েছে বলে দাবি বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টেও।
ভূমি থেকে আকাশে দ্রুত লক্ষ্যভেদে সক্ষম আকাশ–সহ ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভার পৌঁছল। ভারতে তৈরি হয়েছে ভূমি থেকে আকাশে ছোঁড়ার ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ। নিমেষে শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ধ্বংস করে দিতে জুড়ি নেই আকাশের। ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে এবং ১৮ হাজার মিটার উচ্চতায় থাকা শত্রুর হাতিয়ারেরও নিস্তার নেই। সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যে অত্যাধুনিক এয়ার সার্ভেল্যান্স সিস্টেম আসছে ভারতের হাতে। সেই ব্যবস্থাও কাজে লাগানো হবে চিনকে রুখতে।
এমনকী বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্যাকটিক্যাল এয়ারলিফ্টার বিমান সি–১৩০ জে হারকিউলিকেও লাদাখের আকাশে দেখা গিয়েছে। দৌলত বেগ ওল্ডির বিমানঘাঁটিতে নেমেই আবার তা উড়ে চলে গিয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থলসেনা মোতায়েনের পাশাপাশি এবার এয়ার ডমিন্যান্স শুরু করেছে ভারত। দেশের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রেরও সমাবেশ করছে ভারত। সি–১৭ গ্লোবমাস্টারে চাপিয়ে চণ্ডীগড় থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে টি–৯০ ট্যাঙ্ক। যার একবার
পরিবহণ খরচই প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। উত্তর ভারতের প্রায় সব ক্যান্টনমেন্ট, বিমান ঘাঁটি থেকে আধুনিক সমরাস্ত্র পাঠানো হচ্ছে লাদাখে। আধুনিক বন্দুক, কামান পাঠানো হচ্ছে।