কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ–ভারত। নিজের নিজের দেশের নগর–প্রশাসনের সেরা অনুশীলনগুলি ভাগ করে নিতে চায় উভয় দেশ। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করতে ভারত সহযোগিতা করতে চায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে নগরভবনে বৈঠকে এই প্রস্তাব দেন ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
স্মার্ট সিটি নিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র একটি লিখিত প্রস্তাবনার কথা বলেন। দ্রুত সেই প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বলে জানান ভারতীয় হাই কমিশনার। আর মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে নিরাপদ ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং, যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ, সিএফএল বালব্–এর পরিবর্তে এলইডি বালব্ ব্যবহার এবং রাজস্ব সংগ্রহ ও আদায় বাড়াতে প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানে সহযোগিতা করারও প্রস্তাব দেন ভারতীয় হাই কমিশনার।
এদিন ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, ‘দুই দেশের আইনজীবীদের নিয়ে একটি আইন বিষয়ক বইমেলা আয়োজন করা যেতে পারে। উভয় দেশের বিচারপতিগণের দু’দেশের হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট পরিদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়েরও প্রস্তাব দেন তিনি।’ বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে উপলক্ষ্যে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ম্যারাথন ২০২১ আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।
মহামারি করোনার প্রভাব কমলে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপসকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় হাই কমিশনার এবং কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন–সহ কয়েকটি নগর কর্পোরেশনের এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে ডিএসসিসি মেয়র ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, ‘করোনার প্রভাব শেষ হলে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে তিনি ভারত সফর করবেন। ভারতের নগর কর্পোরেশন ব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করতেও ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস সম্মতি জ্ঞাপন করেন।’
