চিনের সঙ্গে ভারতের বৈরিতার মধ্যেই হাতে আসতে চলেছে রাফাল। আগামী জুলাই মাসের শেষ নাগাদ ৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান আসবে ভারতের হাতে। অস্ত্রসম্ভারে সজ্জিত অত্যাধুনিক এই ‘এয়ার টু এয়ার’ ক্ষেপণাস্ত্র ম্যাটিওয় এবং ‘এয়ার লঞ্চড ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র স্ক্যাল্প–সহ ফ্রান্স থেকে ভারতে এসে পৌঁছবে বলে খবর মিলেছে। ফলে যদি চিন– ভারত যুদ্ধ লাগে তাহলে নিঃসন্দেহে রাফাল কাজে লাগানো হবে।
সূত্রের খবর, লাদাখ সীমান্তে ভারত–চিন সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ৩৬টি রাফাল বিমান দ্রুত সরবরাহের কথা জানিয়েছিল ফ্রান্সকে। ২০১৬ সালে ৫০ হাজার কোটি টাকার এই চুক্তি সম্পাদিত হয়। এখন চিন যুদ্ধংদেহী মেজাজ দেখানোয় পাল্টা দিতে চায় ভারতও। তাই জরুরী ভিত্তিতে রাফাল পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। তাতেই সম্মতি দিয়েছে ফ্রান্স।
আরও জানা গিয়েছে, প্রকৃত চুক্তি অনুযায়ী— চলতি বছরের মে মাসে অম্বালায় চারটি রাফাল বিমানের পৌঁছনোর কথা ছিল। আর ২০২২ সালের মধ্যে এভাবে ধাপে ধাপে ৩৬টি রাফাল সরবরাহ করার কথা ফ্রান্সের। কিন্তু করোনার কারণে ওই চারটি রাফালের সরবরাহে দেরি হয়। কিন্তু সীমান্তে উত্তেজনার নিরিখে ভারত আর দেরি করতে চাইছে না। আপাতত পাঠানো ওই ছ’টি রাফাল বিমান অম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটির ১৭ নম্বর ‘গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রন’–এ অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অম্বালা ছাড়াও পূর্ব সেক্টরের আলিপুরদুয়ার জেলার হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটির ১০১ নম্বর ফ্যালকন স্কোয়াড্রনে রাফাল অন্তর্ভুক্ত করা হবে। চিন এবং পাকিস্তানের গতিবিধির উপর নজর রেখে পূর্ব এবং পশ্চিম ভারতের ঘাঁটিগুলিতে রাফাল অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ভারতীয় বায়ুসেনার একটি দল ফ্রান্সে গিয়ে রাফাল পরিচালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন।
উল্লেখ্য, চিনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া প্রায় ৩,৪৮৮ কিমি সীমান্তরেখা সুরক্ষিত রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে বায়ুসেনা। সুখোই–৩০এমকেআই, এমআইজি–২৯ এবং জাগুয়ার যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। জুলাই মাসের শেষ নাগাদ রাফাল বিমানগুলি ভারতে এসে পৌঁছলে বায়ুসেনার অস্ত্রসম্ভার অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে উঠবে।