আন্তর্জাতিক

ফের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত ভারত

লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় যখন ভারত–চিন টেনশন তুঙ্গে তখন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অস্থায়ী সদস্য পদ পেয়েছে ভারত। আর তাতেই আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজে টুইট করে সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। দেশের জওয়ানরা সীমান্তে আত্মবলিদান দিয়ে যাচ্ছেন। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার ভারত নিজের আসনটি অষ্টমবারের জন্য সুরক্ষিত করেছে।
ওই নির্বাচনে ১৯৩টি ভোটের মধ্যে ১৮৪টি ভোট পড়েছে ভারতের নামে। কার্যত প্রতিদ্বন্দ্বিরা ধোপে টেকেনি। মোদী আজ টুইটে লিখেছেন, সারা বিশ্ব থেকে যেভাবে সমর্থন মিলেছে আমি তাতে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে ভারত সকলের সঙ্গে মিলে শান্তি, সুরক্ষা, সাম্য প্রচারে কাজ করবে। অস্থায়ী সদস্যদের দু’‌বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করা হয়। নতুন সদস্যদের মেয়াদ শুরু হবে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে।
ভারতের পাশাপাশি সদস্য পদ পেয়েছে মেক্সিকো, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে। তবে এখনও আরও একটি শূন্যপদ রয়েছে। তাই ভোটগ্রহণ চলবে বৃহস্পতিবারও। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্য দেশ হলো— আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন এবং রাশিয়া। বাকি ১০টি অস্থায়ী পদে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নির্বাচনের ভিত্তিতে সদস্য নেওয়া হয়। এখন যে ১০টি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য, তাদের মধ্যে রয়েছে—বেলজিয়াম, কোতে দ্য ভঁয়ে, ডমিনিকান রিপাবলিক, ইকোয়েটোরিয়াল গিনি, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, পেরু, পোল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারত সদস্যপদ পাওয়ার পর রাষ্ট্রপুঞ্জের ভারতীয় স্থায়ী কমিশনের পক্ষ থেকে টুইট করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ভারত ২০২১–২২ সালের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে কাজ করবে। পাঁচ স্থায়ী সদস্য ছাড়াও ভারতের সঙ্গে থাকবে এস্টোনিয়া, নাইজার, সেইন্ট ভিনসেন্ট, তুনিশিয়ার মতো দেশও। উল্লেখ্য, আগেও ভারত আরও সাতবার নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হয়েছিল। ১৯৫০–’৫১, ১৯৬৭–’৬৮, ১৯৭২–’৭৩, ১৯৭৭–’৭৮, ১৯৮৪–’৮৫, ১৯৯১–’৯২। ভারত অস্থায়ী সদস্য হয়েছিল ২০১১–’১২ সালেও। কিন্তু কোনওবারই ভারত ভোটাভুটি ছাড়া রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হতে পারেনি। এই প্রথম ওই সদস্যপদ পেতে ভারতকে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় গ্রুপে কোনও লড়াই করতে হয়নি।