চিনের অ্যাপের ওপর ডিজিটাল স্ট্রাইক করা হয়েছে। দেশবাসীর ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার জন্যই চিনের অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিজেপি’র সভা থেকে এই দাবিই করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। আর বুঝিয়ে দিলেন এটা চিনকে চরম বার্তা দিয়েছে ভারত।
ভারত–চিন সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর ৫৯টি চিনের অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত। নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তে বেজিং বেজায় চটেছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত শান্তি বজায় থাকুক চায়। কিন্তু কেউ যদি খারাপ দৃষ্টিতে ভারতের দিকে তাকায়, তাহলে যোগ্য জবাব দিতেও জানে।’
উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাপগুলির তালিকায় ছিল— টিকটক, শেয়ারইট এবং ইউসি ব্রাউজারও। কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হয়। দেশের সার্বভৌমত্ব, প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়ে দেয় সরকার। ভারতে ৫৯টি চিনের অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে বেজিং।
চিনে টুইটারের মতো যে সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে, সেই ওয়েইবো থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে থাকা অ্যাকাউন্ট খালি করে দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম চিন সফরের আগে চিনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবোতে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু পূর্ব লাদাখের অশান্তির পর বদলে গিয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমীকরণ। তাই ৫৯টি চিনের অ্যাপ্লিকেশন নিরাপত্তাজনিত কারণে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরদিনই ওয়েইবো অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন আউট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
