দেশ ব্রেকিং নিউজ

চিন–ভারত তৎপর লাদাখে, উত্তেজনা

গলওয়ানে চিন সেনার সঙ্গে সংঘাতের পর লাদাখ নিয়ে উদ্যোগ অনেক বেড়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। লাদাখে সবরকম আবহাওয়ায় চলনযোগ্য রাস্তার কাজ শেষ করতে তাড়া দিচ্ছেন দেশের জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসাররা। কারণ পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে চিন। তাই পিএলএ’‌র কপ্টার সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ার কথা মাথায় রেখে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন জায়গায় নতুন এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করল ভারত।
তাহলে কী ভারত–চিন যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জাতীয় রাজনীতিতে। গত ১৮ আগস্ট ইন্দো–চিন যুব ওয়েবিনারে এই মর্মে বক্তব্য রেখেছিলেন ভারতে চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডঙ্গ। এদিন তার অনুলিপি প্রকাশ করে দূতাবাস। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গলওয়ান উপত্যকায় দুই বাহিনীর ওই সংঘর্ষকে ইতিহাসের সামান্য মুহূর্ত বলে তুলে ধরতে চান সান। কেন এটাকে তিনি সামান্য মুহূর্ত বলতে চাইলেন?‌ তাহলে কী আবার কোনও হামলা করতে পারে চিন?‌ উঠছে প্রশ্ন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় রাশিয়ায় তৈরি ইগলা এস এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম–সহ সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। ভারতের আকাশসীমায় কোনও চিনের বিমান ঢুকে পড়লে তাকে প্রতিহত করবে এই মিসাইল। সুতরাং আগাম আঁচ করা যাচ্ছে যে, চিন ফের কিছু গণ্ডগোল বাঁধাতে পারে। তাই এই প্রস্তুতি ভারতের। এমনকী হিমাচলপ্রদেশের দরচা থেকে কার্গিলের জানস্কার উপত্যকার পদাম ছুঁয়ে নিমু পর্যন্ত লাদাখের প্রথম অল ওয়েদার স্ট্র্যাটেজিক রুট তৈরি করতে তৎপর ভারত। লেহ শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে নিমুতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চতুর্দশ কোরের সদর দপ্তর। সেনার এই কোরের উপরই পূর্ব লাদাখ ও সিয়াচেন হিমবাহ প্রতিরক্ষার দায়িত্ব ন্যস্ত। চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর দ্রুত কাজ শেষ করতে চাইছেন সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি ও প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিং।