দেশ লিড নিউজ

দীর্ঘ ১১ ঘন্টার বৈঠকে রফাসূত্র অধরা

লাদাখে এখনও মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত–চিনের বাহিনী। বাড়ছে ঠাণ্ডা। তার মধ্যেই দেশকে রক্ষা করতে জীবন বাজি রেখেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর অন্যদিকে চিনের লালফৌজ জীবন বাজি রেখেছে ভারতের ভূখণ্ড দখল করার তাগিদে। আকাশে গগনভেদী আওয়াজ করে চক্কর কাটছে যুদ্ধবিমান রাফাল। কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে গোটা অঞ্চল। শুধু একটি স্ফুলিঙ্গ ঘটাতে পারে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। এই অবস্থায় সংঘাতের সমাধান খুঁজতে সপ্তম দফার সামরিক বৈঠকে বসল ভারত–চিনের সেনাকর্তারা।ভারত সেখানে সাফ জানিয়ে দিয়েছে স্থিতাবস্থা রাখতেই হবে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, চুশুল-মলডো সীমান্তে ভারতের দিকে সীমান্ত বৈঠক পয়েন্টে শুরু হয় দু’পক্ষের বৈঠক। প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে আলোচনা চলার পর বৈঠক শেষ হয়। কোর কমান্ডার স্তরের ওই বৈঠকে ভারতের হয়ে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ফৌজের ১৪ কোরের বিদায়ী কমান্ডার হরিন্দর সিং ও নয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিজিকে মেনন এবং বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব নবীন শ্রীবাস্তব।
চিন ফৌজের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন সাউথ জিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল লিউ লিন। সূত্রের খবর, এই প্রথমবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। কিন্তু চিনের অভিসন্ধি নিয়ে সন্দিহান ভারত।
এদিনের বৈঠকে ভারতের নীতি ঠিক করে দিয়েছে চিন স্টাডি গ্রুপ (সিএসজি)। এই গ্রুপে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও ফৌজের তিন বাহিনীর প্রধান। নয়াদিল্লির সাফ কথা লাদাখ সীমান্তে এপ্রিলের অবস্থানে ফিরতে হবে চিনকে। বেজিংয়ের দাবি, প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ পাড়ে পাহাড় চূড়াগুলির দখল ছাড়তে হবে ভারতীয় বাহিনীকে। সুতরাং নিজেদের অবস্থানেই অনড় দুই দেশ।