দু’দিনের সফরে লে ও শ্রীনগরের বায়ুসেনা ঘাঁটি পরিদর্শনে রয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান আর কে এস ভাদুরিয়া। লাদাখে চিনের সঙ্গে একের পর এক সংঘর্ষের পর শ্রীনগর ও লেহ–তে ইতিমধ্যেই বেশি সংখ্যায় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বায়ুসেনাকে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যুদ্ধের পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে। সূত্রের খবর, ফরওয়ার্ড বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ১২টি সুখোই এবং ২১টি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছে বায়ুসেনা। যা কিনতে মোট ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। সীমান্তের ফরওয়ার্ড বেসগুলিতে আনা হয়েছে স্কোয়াড্রন সুখোই। এছাড়াও আগামী মাসেই অত্যাধুনিক রাফালে বিমানও হাতে পাবে বায়ুসেনা। সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একাধিক সামরিক হেলিকপ্টারকে আকাশে চক্কর কাটতে দেখা যায়। চিনুক কার্গো হেলিকপ্টার, অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, নজরদার বিমান পি–৮ সার্ভেইলেন্স এয়ারক্র্যাফ্ট এবং কার্গো বিমান আইএল–৭৬ স্ট্র্যাটেজিক এয়ারলিফ্টারকে আকাশে উড়তে দেখা যায়।
তবে দু’দেশই বর্তমান পরিস্থিতে পুরোমাত্রার যুদ্ধ চাইছে না। তবে চিনের একবগ্গা মনোভাবে ভারতও সীমান্তে ‘এয়ার ডমিন্যান্স’ প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে। স্পেশাল ফোর্স বা যুদ্ধবিমান হামলার অর্থই হল দু’দেশের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়া বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, কার্গিল যুদ্ধের সময়ও বিমান হানা করতে হয়েছিল ভারতকে।