দেশ ব্রেকিং নিউজ

ভারত–ভূখণ্ডে আঁকা চিন মানচিত্র

ভারত–চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতীয় সেনার ১৪ নম্বর কোর কম্যান্ডার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং চিন সেনার প্রতিনিধি মেজর জেনারেল লিউ লিন’‌র হাতে ভারতের একটি মানচিত্র তুলে দেন। যেখানে গলওয়ান–সহ বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা প্যাংগং লেক, দেপসাং, ফিঙ্গার ফোরের বিস্তীর্ণ অংশকে দেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়৷ চিনের আগ্রাসনের প্রমাণ স্বরূপ কিছু উপগ্রহচিত্রও তুলে ধরা হয়। তবে ভারতের এই দাবি মানেনি চিন। বরং আজ ভারতীয় ভূখণ্ডে নিজেদের মানচিত্র ও লিপি এঁকে দিয়েছে চিন সেনা। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ৪ এবং ফিঙ্গার ৫–এ নিজেদের মানচিত্র ও লিপি এঁকে রেখেছে তারা। এই দুটি এলাকা ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে পড়ে।
এভাবেই তারা ‌জবাব দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সামনে বলতে না পেরে পেছন দিক থেকে কৌশলে এই কাজ করল তারা। লালফৌজের তরফে জানানো হয়েছে, দু’এক দিনের মধ্যেই তারা পাল্টা দলিল ভারতের হাতে তুলে দেবে। উপগ্রহ চিত্রে আরও দেখা যাচ্ছে, ওই এলাকায় অসংখ্য অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছে চিন সেনা। সাজোঁয়া গাড়ি এবং অস্ত্রসস্ত্র মজুত করেছে তারা। তাহলে কী তলে তলে যুদ্ধের সবরকম প্রস্তুতি সেরে রাখছে লাল ফৌজ?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ১ থেকে ৮ পর্যন্ত টহল দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী।
২৮ জুন তারিখে তোলা এই উপগ্রহচিত্রে ভারতীয় ভূখণ্ডের যে এলাকাগুলিকে চিনের অনুপ্রবেশের প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, তার মধ্যে আছে গলওয়ান, দেপসাং, ডিবিও এবং প্যাংগং লেক৷ চিন এবার দাবি করছে, ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত তাদের এলাকা। তাই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবে নিজেদের এলাকার দখল কোনওভাবেই ছাড়তে চাইছে না ভারত। চিন যেন জমি মাফিয়াদের মতো ব্যবহার করে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ভারত লাদাখের বিস্তীর্ণ অংশে মোতায়েন করা হয়েছে টি–৯০ ভারি ট্যাঙ্ক৷ বসানো হয়েছে হাউৎজার কামানও৷ আর ৮১ মিটার লম্বা এবং ২৫ মিটার চওড়া এলাকাজুড়ে নিজেদের মানচিত্র ও লিপি এঁকে রেখেছে চিন। মনে করা হচ্ছে, নেহাত উস্কানি দিতেই ওই এলাকায় এমন কাজ করছে চিন।