ফের সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াল চীনের লাল ফৌজ। সপ্তাহখানেক আগে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে ঘটনাটি ঘটে বলে সরকারি সূত্রে খবর। পূর্ব লাদাখে ১৭ মাস ধরে চলা সংঘাতের নিষ্পত্তি করতে শীঘ্রই দু’দেশের কোর কমান্ডার স্তরে ১৩ তম রাউন্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর পর তাওয়াং সেক্টরে এই ধরনের ঘটনা ঘটল। শেষবার ২০১৬ সালের দু’দেশের বাহিনী হাতাহাতিতে জড়িয়েছিল।
সরকারি সূত্রে দাবি, সংঘাত তেমন তীব্র ছিল না। তাওয়াং সেক্টরে দু’দেশের বাহিনীর টহলদার ইউনিট পরস্পরের মুখোমুখি চলে আসার ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। তারপরই দু’পক্ষের বচসা ও মৃদু হাতাহাতি হয়। সূত্রের খবর, ঘটনার সময় চীনা ফৌজের লোকবল ভালোই ছিল। মনে করা হচ্ছে, ভারতীয় সেনার টহলদার ইউনিটের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর অভিসন্ধি নিয়েই এসেছিল তারা। তবে, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সেনাবাহিনীর এক কর্তা জানান, মাঝেমধ্যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। সামান্য ধাক্কাধাক্কি আর তর্কাতর্কিতেই বিষয়টা মিটে যায়। এক্ষেত্রেও স্থানীয় কমান্ডাররা তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেন।
এদিন ভারতীয় বায়ুসেনার ৮৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লাদাখ প্রসঙ্গ তুললেন নয়া বায়ুসেনা প্রধান ভি আর চৌধুরী। তিনি জানান, লাদাখে চীনের সঙ্গে সংঘাতের সময় যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে বায়ুসেনা সক্রিয় হয়েছে, তা আসলে বাহিনীর সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকারই প্রমাণ। এদিন বায়ুসেনা দিবসে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।