আবার নতুন সমঝোতা। পূর্ব লাদাখের বিতর্কিত সীমানায় দু’দেশের কেউই আর নতুন করে সেনা পাঠাবে না। দু’দেশের সেনাবাহিনীর সিনিয়র কম্যান্ডারদের মধ্যে ১৪ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন বৈঠকে দুপক্ষই এই বিষয়ে সহমত হয়েছে। তবে প্রশ্ন, চিন শেষ পর্যন্ত কথা রাখবে তো?
বারবারই দেখা গিয়েছে, চিন কোনও চুক্তিই শেষ পর্যন্ত মানেনি। তাই এবার নতুন করে সমঝোতা হলেও চিনের নতুন কোনও ছক আছে কিনা তা এখন স্পষ্ট নয়। ঠিক হয়েছে ভারত–চিন কেউই ফ্রন্টলাইনে অতিরিক্ত সেনা পাঠাবে না। পূর্ব লাদাখে বর্তমানে যে অবস্থা রয়েছে তা বজায় রাখা হবে। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আপাতত লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখায় আর অতিরিক্ত বাহিনী পাঠাবে না ভারত এবং চিন। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, সীমান্তে ভুল বোঝাবুঝি কমাতে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগও বাড়াবে দু’পক্ষ। আর সমস্যা সমাধানে দু’দেশের প্রতিনিধিরাই নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। একতরফাভাবে কেউই তার অবস্থান বদল করবে না। পাশাপাশি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমান্ডার পর্যায়ে দুদেশের মধ্যে সপ্তম বৈঠক হবে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে চিন দাবি করে, চূশূলে কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক পাহাড় চুড়োগুলি ভারতীয় সেনাবাহিনী সরিয়ে নিতে হবে। ভারত পালটা দাবি করে, প্যাংগং লেক বরাবর ফিঙ্গার ফোর থেকে ফিঙ্গার এইট পর্যন্ত এলাকা ফাঁকা করে দিতে হবে চিন বাহিনীকে। কিন্তু কেউই তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে রাজি হয়নি। তবে গত তিন সপ্তাহে চূশূল সেক্টরে অন্তত তিনবার গুলি চলার পর যে উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা আর বাড়তে দেওয়া হবে না বলে ভারত–চিন সম্মত হয়েছে।
