লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত–চিন সংঘর্ষের পর করোনা আবহে রাশিয়া গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তখনই জল্পনা তৈরি হয় চিনকে ঠেকাতে রাশিয়ার সাহায্য নেবে ভারত। তারই মধ্যে দেখা গেল চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিল ভারত। সীমান্ত পরিস্থিতি যখন সরগরম তখন চিনকে বাগে আনতে রাশিয়ার থেকে বিধ্বংসী এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেম কিনছে ভারত। দেশের সুরক্ষায় থাকছে অ্যান্টি–এয়ারক্রাফ্ট ওয়েপন সিস্টেম তথা সারফেস–টু–এয়ার মিসাইল সিস্টেম।
এই ক্ষেপনাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য কী? জানা গিয়েছে, ভূমি থেকে আকাশে যে কোনও টার্গেটে গিয়ে আঘাত করবে ক্ষেপণাস্ত্র। এক মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে শত্রুপক্ষের কমব্যাট ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট। একবারে তিনশোর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যেতে পারবে এই সিস্টেম। শুক্রপক্ষকে ঘায়েল করতে পারবে মিসাইল ছুঁড়ে। দূরের লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে এই ক্ষেপনাস্ত্রের জুড়ি মেলা ভার।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে রাশিয়া প্রথম এই মিসাইল সিস্টেম আবিষ্কার করে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক এবং শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম হল এস–৪০০ ট্রায়াম্ফ। এই সিস্টেমের রাডার অন্ততপক্ষে ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত টার্গেট দেখতে পায়। লাদাখে গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় জওয়ানদের ওপর চিনের বর্বর আক্রমণের বদলা নিতেই এই ক্ষেপনাস্ত্র কেনা হচ্ছে।