এবার মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত–বাংলাদেশ। তবে সেটা রেল প্রকল্প নিয়ে। যা উন্নয়নে আর একটা পালক যোগ করতে চলেছে। এই বৈঠক হতে চলেছে ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ রেলওয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যেই ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। রবিবার তাঁরা শিলিগুড়ি পৌঁছচ্ছেন। সেখানেই হবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের সাত সদস্যের ওই প্রতিনিধিদল এদেশের রেল যোগাযোগের বিষয়ে কথা বলবেন। রেলপথ মন্ত্রকের বিভিন্ন পর্যায়ের অধিকারিকরা ওই দলে রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকা–শিলিগুড়ি যে ট্রেনটির শুভযাত্রা হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হবে বৈঠকে। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বৈঠক শুরু হবে সোমবার। তবে কোন পথে রেল চলবে এবং সেখানে কি কি সতর্কতা নেওয়া হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষ্যে আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবাষির্কী পালন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ–ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি পালন করা হবে। পড়শি দেশের মধ্যে সবচেয়ে কাছের বন্ধু বাংলাদেশের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে দু’দিনের ঢাকা সফরে ২৬ মার্চ আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে ৪ মার্চ ঢাকায় পা রাখার কথা রয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শংকরের। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বঙ্গবন্ধু–বাপু জাদুঘর উদ্বোধনের কথা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ওই দিন নরেন্দ্র মোদী টুঙ্গিপাড়া যাবেন। ঢাকা থেকে শিলিগুড়ির পথে যাত্রীবাহী ট্রেনের শুভযাত্রার সূচনা করবেন। ২৭ মার্চ ঢাকায় দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কথা রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঢাকা–শিলিগুড়ি চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেনের কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, সপ্তাহে ক’দিন চলাচল করবে এইসব বিষয়গুলির পাশাপাশি অপর রেলপথগুলির কর্মসূচি নিয়েও বিশদ আলোচনা করবে উভয় দেশ। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতা দিবসের রেশ ধরে গত ১৭ ডিসেম্বর ৫৫ বছর পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ভারতের হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেলপথটির বন্ধ দুয়ার খুলে গিয়েছে। যার পথ বেয়ে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শেখ হাসিনা–নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে ঢাকা-শিলিগুড়ি যাত্রীবাহী রেল চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।
এখানের ভাষা ও সংস্কৃতি এক। তাঁদের আশা, এবারে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে উভয় দিকের স্বজনদের যাতায়াত শুরু হবে। দীর্ঘদিন পর একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আবেগে ভাসতে পারবে। চিলাহাটি ও আশপাশ এলাকার মানুষের কতটা আবেগ তা বোঝা গিয়েছে গত ১৭ ডিসেম্বর চিলাহাটি–হলদিবাড়ি পণ্যবাহী ট্রেনের উদ্বোধনকালে। আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসে ঢাকা–শিলিগুড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল উন্নয়নের জোয়ার আনবে বলেই ধারণা।
