ক্রমেই শিকড় ছড়াচ্ছে জেহাদের বিষবৃক্ষ। তাই এবার সন্ত্রাসদমনে একসঙ্গে কাজ করবে ভারত–বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী। দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা ও নয়াদিল্লি। সীমান্তে যেমন দুই দেশের সেনারা আছেন। তেমনই এবার দুই দেশের অভ্যন্তরে পুলিশও একসঙ্গে কাজ করবে বলে খবর।
সন্ত্রাসবাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন দুই প্রতিবেশী দেশের পুলিশ প্রধানরা। এই ভারচুয়াল বৈঠকে জালনোট চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস, মাদক ও মানবপাচার নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। দুই দেশের পলাতক সন্ত্রাসবাদীদের অবস্থান নিশ্চিত করে তাদের পাকড়াও করতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হয় দুই পুলিশ বাহিনীর কর্তাদের মধ্যে। ভবিষ্যতে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে একে অপরকে সহযোগিতা করার বিষয়েও আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, জেএমবি, আল কায়দা–সহ একাধিক ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশে অপরাধ সংগঠিত করে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে আসে। ভারতে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তাই এবার যৌথভাবে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশে উত্থান হয় মৌলবাদের৷ নয়ের দশকে ও এই শতাব্দীর শুরুতে জন্ম নেয় একাধিক জঙ্গি সংগঠন৷ তারপর থেকেই দেশজুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা৷তবে শক্ত হাতে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।