বাংলাদেশ

ভারত–ঢাকা বৈঠক সেপ্টেম্বর মাসেই

তিস্তা নিয়ে চিন নাক গলাতেই তৎপর হয়ে উঠল ভারত। বাংলাদেশ ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের ষষ্ঠ জয়েন্ট কনসালটেটিভ বৈঠক সেপ্টেম্বর মাসেই করতে চায় ঢাকা। ভারতেরও তাতে কোনও আপত্তি নেই। তাই এই সংক্রান্ত সরকারি প্রস্তুতিও নেওয়ার কথা জানালেন বাংলাদেশের বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
গত ১৯ আগস্ট দু’‌দিনের ঢাকা সফরে এসে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভারতের বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তখন শ্রীংলার সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশের বিদেশসচিব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, দু’দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক দ্রুত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আসলে তিস্তা সমস্যাকে সামনে রেখে চিন ঢুকে পড়তে চাইছে বাংলাদেশে। আর তারপর ভারতকে বিপাকে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হবে। সেটা যাতে না হয় তাই সোজা ব্যাটে খেলতে চাইছে ভারত।
উল্লেখ্য, তৃতীয়বার হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পঞ্চম জয়েন্ট কনসালটেটিভ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ভারতের পক্ষে তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
এবারের বৈঠক নিয়ে মাসুদ বিন মোমেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা সেপ্টেম্বর মাসেই জয়েন্ট কনসালটেটিভ বৈঠক করার প্রস্তাব দেবেন। ভার্চুয়াল বৈঠক আয়োজন করবে বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে ঠিক কি স্ট্র‌্যাটেজিক আলোচনা হবে তা অবশ্য খোলসা করা হয়নি। তবে তিস্তার জল এক্ষেত্রে আলোচনায় স্থান পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।