লাদাখের গলওয়ান উপত্যকা ক্রমেই যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে। সেখানে ক্রমেই সেনা বাড়াচ্ছে চিন। ইতিমধ্যেই চিনের সেনারা প্যাংগং লেকের উত্তর তীরে ফিঙ্গার–৪ থেকে ৮ পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করতে উচু স্থান দখল করে তা নিয়ন্ত্রণ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সোমবার দু’দেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ে বৈঠক হওয়ার কথা। এমন এক পরিস্থিতিতে গলওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দু’দিকে দাঁড়িয়ে ভারত–চিনের ১০০০ সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে চিনের তরফে যে পদক্ষপে করা হচ্ছে তা রীতিমতো বাড়াবাড়ি। এই পরিস্থিতি ফের সংঘর্ষ হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গলওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪—ওই পরিস্থিতি হলেও প্যাঙ্গন টিসো–তেও উত্তেজনা রয়েছে। দু’দেশই সেখানে নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে। সীমান্তের ভেতরে ট্যাঙ্ক, গোলাবারুদ জমা করা হচ্ছে বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর। এখন লাদাখে পাঠানো হচ্ছে অতিরিক্ত ২০০০ আইটিবিপি জওয়ান। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যেকোনও মুহূর্তে ফের ঘটতে পারে ভারত–চিন সেনা সংঘর্ষের ঘটনা। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা।
১৫ জুনের সংঘর্ষের পর দুই শিবিরের মধ্যে বিশ্বাসের একটা অভাব টের পাওয়া যাচ্ছে। এই অবস্থায় এলএসি’র কাছ থেকে সেনা সরানো নাও হতে পারে। চিনের আগ্রাসন ফের হলে ভারত সেনা পদক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না বলে সূত্রের খবর। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা হল ৩৪৪০ কিলোমিটারের একটা চিহ্নিতকরণ এলাকা। যার মাধ্যমে ভারতীয় সেনার দখলে থাকা এবং চিনের সেনার দখলে থাকা অঞ্চলকে পৃথক করা হয়৷ যেহেতু এলএসি একাধিক জায়গায় ওভারল্যাপ করে আছে তাই চিন নিজেদের অবৈধ দাবি সবসময় জানায়৷ এলএসি তিনটি অংশে বিভক্ত৷ পশ্চিম, পূর্ব ও মধ্য৷
উল্লেখ্য, লাদাখে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত–চিনের মধ্যে অনেক বৈঠকই হয়েছে। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। বরং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গলওয়ানে চিনের পোস্ট গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এদিকে লাদাখের বিভিন্ন জায়গায় চিনের গতিবিধির উপর নজর রাখতে যুদ্ধবিমান নিয়ে টহল জারি করেছে ভারত। রবিবার তিন বাহিনীর প্রধান ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ফিঙ্গার ১ থেকে ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত ভারতের দখলে রয়েছে। এখন গোটা এলাকাটাই দখলের মতলবে রয়েছে চিন। সম্প্রতি প্যাঙ্গন লেকের ফিঙ্গার ৪–এ বিপুল সেনা জড়ো করেছে চিন।