সেনাস্তরের শান্তি বৈঠকের প্রাক্কালে সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকন্দ নারাভানে স্পষ্ট জানালেন চীনের সঙ্গে স্থায়ী সীমান্ত শান্তির সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে। চীন যেভাবে লাদাখ এবং ভারতের অন্য সীমান্তে সমরসজ্জা বাড়াতে শুরু করেছে সেটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। শীতকাল পর্যন্ত যদি এই প্রবণতা চলতে থাকে, তাহলে চীনের সঙ্গে বড় সংঘাত অনিবার্য। অর্থাৎ পাকিস্তানের সঙ্গে যেমন নিয়ন্ত্রণরেখায় অবিরত গুলির লড়াই অব্যাহত, ঠিক সেই পরিস্থিতি এবার চীনের সঙ্গেও হতে পারে।
চীনের এই আচরণকে বিস্ময়কর আখ্যা দিয়ে সেনাপ্রান বলেছেন, নিশ্চিতভাবে কোনও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আছে চীনের। একইভাবে উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতের নতুন বায়ুসেনা প্রধান বিবেক রাম চৌধুরী। তিনিও সম্প্রতি বলেছেন, তিব্বতের তিনটি এয়ারবেসে চীনের বায়ুসেনা একসঙ্গে বহু যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। ঠিক এরকমই এক আবহে আজ রবিবার লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে আরও এক দফা শান্তিবৈঠক হতে চলেছে।
লাদাখের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সরিয়ে ফেলতে হবে সম্পূর্ণভাবে, এই দাবিই ভারত আজ আবার করবে। এখনও দুটি পয়েন্টে চীনের সেনা একইভাবে রয়েছে, সরে যায়নি। একদিকে যেমন এই বৈঠক হতে চলেছে, অন্যদিকে চীন লাগাতার প্ররোচনামূলক আচরণ করে চলেছে। কখনও উত্তরাখণ্ডে ঢুকে সেতু ধ্বংস করে পালাচ্ছে, আবার কখনও তাওয়াং-এ আক্রমণাত্মক হচ্ছে ভারতীয় সেনার প্রতি।
আগামী সপ্তাহেই ভারতে আসছেন মার্কিন নৌবাহিনীর প্রধান। ভারতের নৌপ্রধানের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে দক্ষিণ চীন সাগর ও ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্রপথ নিয়ে। সোজা কথায় ওই দুই সমুদ্ররুটে চীনের আগ্রাসন ঠেকাতে ভারত ও আমেরিকা আরও শক্তিশালী স্ট্র্যাটেজি নিচ্ছে।