লিড নিউজ

বাংলায় বাড়ল কনটেইনমেন্ট জোন!‌ ভারত চতুর্থ

প্রায় প্রত্যেকদিনই ভাঙছে করোনার রেকর্ড। হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখন প্রায় ওলিগলিতেই ঢুকে পড়েছে সংক্রমণ। আনলক ওয়ানে রাস্তায় বেরোচ্ছে আম–জনতা। ফলে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে সংক্রমণের গ্রাফচিত্র। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে প্রায় ১১ হাজারের কাছাকাছি চলে গেল। মৃত্যু হয়েছে ৩৯৬ জনের। এই সংখ্যাবৃদ্ধিতে ব্রিটেনকে পেছনে ফেলে করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ দেশের তালিকায় চার নম্বরে উঠে এসেছে ভারত।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল শুধু কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন জারি থাকবে। তাতে দেখা যাচ্ছে অন্যান্য রাজ্যের থেকে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আর কলকাতার অবস্থা উদ্বেগজনক হয়ে পড়ছে। ২ জুন কলকাতার কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ৩৫১। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে তিনগুণ বেড়ে সংখ্যাটা হয়েছে ১১০৯। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা আসার পর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা রাজ্যের নিরিখেও গত ১০ দিনে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার উপায়?‌ কেন্দ্র–রাজ্য কেউ এখনও উপায় বাতলাতে পারেনি। সময়ের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মানুষের জীবন। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৯৫৬ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৯৭,৫৩৫ জন। এদিকে ২ জুন গোটা বাংলার কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ৮৪৪। ১০ দিনের মধ্যে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮০৯। পরিসংখ্যান বলছে, পুরুলিয়াতে ২ জুন একটিও কনটেনমেন্ট জোন ছিল না। এখন ওই জেলায় কনটেনমেন্ট জোন ৮৮, বাঁকুড়া ৮৮ এবং পূর্ব বর্ধমান ৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৩।
অন্যদিকে কেন্দ্রের উপদেষ্টা তথা নয়াদিল্লি এইমসের অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জানান, আগামী ২–৩ মাসে সংক্রমণ শিখরে পৌঁছতে পারে। গুলেরিয়ার কথার সূত্র ধরেই দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী দু’দিন আগে দাবি করেছেন, ৫০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে সংক্রমণের উৎস বোঝাই যাচ্ছে না। উত্তর ২৪ পরগনা ১৪৪ থেকে বেড়ে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা হয়েছে ২১৯, দক্ষিন ২৪ পরগনায় ৩০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬১। তবে হাওড়া ব্যতিক্রম। সেখানে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২ জুন ছিল ৭৬।