চুপিসারেই বেড়ে গেল রেলের প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম। একেবারে ১০ টাকা থেকে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম বেড়ে হল ৩০ টাকা। কোথাও আবার বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্তও। রেলের তরফে এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে। কিছু স্বল্প দূরত্বের প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়াও একধাক্কায় অনেকটা বাড়ছে। কিছু কিছু রুটে ভাড়া বাড়ছে ৩ থেকে ৫ গুণ পর্যন্ত। এতদিন যে দূরত্বে যাতায়াতের জন্য ১০ টাকার টিকিট কাটলেই চলত, এখন থেকে সেই টিকিটের দাম বেড়ে হতে পারে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
করোনা আবহে সাধারণ মানুষের যখন জীবিকা সংকট তখন কেন বাড়ানো হচ্ছে ভাড়া? রেলের যুক্তি, করোনা আবহে ট্রেনে যাতে অনাবশ্যক ভিড় না হয় তাই ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেল বলছে, এটা অস্থায়ী সিদ্ধান্ত। করোনা আবহে যাত্রীরা যাতে খুব প্রয়োজন না হলে ট্রেনে না চড়েন, সেটা নিশ্চিত করতে গতমাসেই কিছু কিছু স্বল্প দূরত্বের প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়েছিল রেল।
এই পরিস্থিতিতে রেল পরিষেবা বন্ধ হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এখনও বহু রুটে বহু ট্রেন চলছে না। তারই মধ্যে ভাড়া বাড়ানো হল। যা সাধারণ মানুষের পকেটে বাড়তি চাপ দেবে তাতে সংশয় নেই। ১ জানুয়ারি থেকে শহরতলির ট্রেনগুলি ছাড়া বাকি সব ট্রেনের ভাড়াই বাড়ানো হয়। সাধারণ নন–এসি ট্রেনের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি এক পয়সা করে বাড়ানো হয়েছিল। মেল ও এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে নন–এসিতে প্রতি কিলোমিটারে ২ পয়সা করে এবং এসি ট্রেনে ৪ পয়সা করে ভাড়া বাড়ানো হয়।
