দেশে হুহু করে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় সরকারের হিসাব অনুসারে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১০০ জন ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা সব থেকে বেশী।
ইতিমধ্যে দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিশেষ বৈঠক সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনগুলিকে সতর্ক ও সাবধান থাকতে বলেছেন। করোনার নতুন স্ট্রেনের দাপট রুখতে কেন্দ্রের পুরনো টেস্টিং এবং ট্রাকিং নীতিতেই আস্থা রাখছেন মোদি। সেই সঙ্গে জোর দিতে বলছেন টিকাকরণেও। তাঁর পরামর্শ যত দ্রুত সম্ভব ওমিক্রন আক্রান্তদের শনাক্ত করে আইসোলেট করতে হবে। এবং তাঁদের কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করতে হবে।
জানা গিয়েছে, নতুন ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ৮৮-জনই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। এর পরেই তালিকায় রয়েছে দিল্লি, সেখানে নতুন করে ৬৭ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তার পর রয়েছে তেলঙ্গানা ৩৯, তামিলনাড়ু ৩৪, কর্ণাটক ৩১ ও গুজরাত ৩০।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৬৫০। এই সময়ে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৫১ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৭৪ জনের।
শুক্রবার সকালের খবর, ইতিমধ্যে করোনার সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে কড়া হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেখানে ফিরে আসতে চলেছে রাতের কার্ফুর নিয়ম।
ওমিক্রন আতঙ্ক এখন গোটা বিশ্বের মাথাব্যাথার কারণ। ভারতেও থাবা বসাচ্ছে করোনার অতি বিপজ্জনক এই স্ট্রেন। ইতিমধ্যেই ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে সাড়ে তিনশোর গণ্ডি। তবে প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে অ্যাকটিভ কেস, ধীরে ধীরে বাড়ছে সুস্থতার হারও।