রাজ্য

মালদায় বিজেপির ভাঙন অব্যাহত

বিগত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ছিল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি ভালো ফল করেছিল উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। কিন্তু বিধানসভায় সার্বিক ভরাডুবির পর বিজেপিতে ভাঙ্গন শুরু হয়।

মালদা জেলায় ক্রমাগত ভাঙ্গনে কোনঠাসা পদ্ম শিবির। মঙ্গলবার মালদার ইংরেজবাজার বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনজন বিজেপি সদস্য যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের শক্তি বৃদ্ধি হল তৃণমূলের। যদিও জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপি সদস্যদের দলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে ভাঙ্গনে দিশেহারা বিজেপি বিভ্রান্তিকর মন্তব্যে করছেন দাবি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের।

২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইংরেজবাজারের বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৩টি আসনের মধ্যে ৭টি আসন দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ৬টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। পঞ্চায়েতে দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার শক্তি বৃদ্ধি হল তৃণমূল কংগ্রেসের। বিজেপির ৬ জন সদস্যের মধ্যে তিনজন সদস্য যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী বিজেপি সদস্য পবিত্র মন্ডল বলেন, বিজেপি থেকে পাশ করেছিলাম কিন্তু গ্রামের মানুষকে পরিষেবা দিতে পারছিলাম না। তাই গ্রামের মানুষের আবেদনে সাড়া দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম উন্নয়নের সামিল হতে। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে এই ধরনের দলবদল করানো হচ্ছে। এতে কোনও লাভ হবে না তৃণমূল কংগ্রেসের। যারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন তারা পুনরায় ফিরে আসবেন বিজেপিতে। বিজেপির এই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতে বিজেপি থেকে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। রাজ্যজুড়ে যে উন্নয়ন চলছে তাতে বিজেপির কোনও সদস্যই বিজেপিতে থাকবেন না তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন। তিনি আরও বলেন, দিশেহারা বিজেপি বিভ্রান্তিকর মন্তব্যে কেউ বিশ্বাস করছে না। মানুষ দিদির সাথে আছে। আগামীদিনে মানুষ প্রমাণ করবে যে বিজেপির এই মন্তব্যগুলো বিভ্রান্তিকর।