অবশেষে আস্থাভোটে জয় পেলেন ইমরান খান। বিরোধীদের বয়কট সত্ত্বেও সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সেনেটে অর্থমন্ত্রীর লজ্জাজনক হারের পরও শেষ পর্যন্ত জয় পেলেন ইমরানই। ৩৪২ সদস্যের সংসদে ইমরানের পক্ষে গিয়েছে ১৭৮টি ভোট। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য তাঁর প্রয়োজন ছিল ১৭২টি ভোট। আস্থাভোট নিয়ে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
গত বুধবার ৯৬ আসনবিশিষ্ট সিনেটের ৪৮টি আসনে নির্বাচন হয়। যেখানে প্রাদেশিক পরিষদ ও জাতীয় পরিষদের নিম্নকক্ষের সদস্যরা ভোট দেন। সেখানে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসে ইমরান খানের তেহরিক–ই–ইনসাফ। তবে ইসলামাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে দলের প্রার্থী তথা অর্থমন্ত্রী আব্দুল হাফিজ শেখ পরাজিত হন। ওই আসনে জয়ী হন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রার্থী তথা সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। ভোটের ফলাফল দাঁড়ায় ১৬৯–১৬৪।
এরপর ফলাফল ঘোষণার পর পিটিআই নেতা ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ইসলামাবাদে সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘বিরোধী দল অনৈতিকভাবে ভোট কিনেছে।’ ইমরান খান আস্থা ভোটের সিদ্ধান্ত নেন। তবে ইমরানের জয় পাকিস্তানের পক্ষে কতটা ভাল হবে তানিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। তাঁর মাথার উপর সেনা থাকছেই।