করোনার প্রথমসারির যোদ্ধাদের নিগ্রহের ঘটনা বারবারই সামনে আসছে। তাই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ। সোমবার দুপুরে আইএমএ বিবৃতি জারি করে বলেছে যে, কর্মস্থলে যেন নিরাপত্তা থাকে। নিগ্রহ এবং হেনস্থা অবিলম্বে বন্ধ হয়। শ্বেত সতর্কতা দিয়ে আইএমএ বলেছে, আগামী বুধবার দেশের সব চিকিৎসক এবং হাসপাতালগুলি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করবে। এছাড়া আইএমএ কেন্দ্রকে চিঠি লিখে এই মর্মে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ‘শ্বেত সতর্কতার পরও চিকিৎসকদের উপর হিংসা রুখতে সরকার ব্যর্থ হলে আগামী ২৩ তারিখকে কালা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হবে। ওই দিন সারা দেশের সব চিকিৎসকরা কালো ব্যাজ পরে কাজ করবেন।’
জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর পাদারায়ানপুরায় ৫৮ জনের একটা দলকে কোয়ারেনটাইনে নিয়ে যাওয়ার সময় একদল স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশকর্মীদের উপর হামলা চালায় ২০০ জন স্থানীয় বাসিন্দা। বাধ্য হয়ে ৩৩জনকে রেখেই চলে যান তাঁরা। নিজামুদ্দিন থেকে ফেরা ওই দলটাকে আইসোলেশনে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দপ্তর।
এদিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা রাজ্যগুলিকে কড়া ভাষায় চিঠি লিখে বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিগ্রহ, শহরাঞ্চলে লকডাউন ভেঙে গাড়ি চলাচল বা সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘন রুখতে ছয়টি আন্তর্মন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল বা আইএমসিটি তৈরি করেছে কেন্দ্র। ওই দলগুলি রাজ্যে রাজ্যে লকডাউন বিধি পালনের উপর যেমন নজরদারি চালাবে, তেমনই স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা এবং চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত বিধিব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য রাখবে।
টুইটারে রাজ্যগুলিকে তাঁর আবেদন, ‘আমি আপনাদের আবেদন করব কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে সব ক্ষেত্রের কর্তৃপক্ষকে কড়া নির্দেশ দিতে তারা যেন সেই নির্দেশিকা মেনেই চলে। লকডাউন বিধির কোনও শিথিলতা যেন না হয়।’