দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ১–১৫ জুলাইয়ের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করল সিবিএসই। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বোর্ড বলেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে। দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর কোনও পরীক্ষাই এখন নেওয়া হবে না। এমনকী এই বছরের মতো বোর্ডের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেনির আইসিএসই ও আইএসসি’র বকেয়া পরীক্ষাগুলি বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলি জুলাই মাসে হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে সংক্রমণের বর্ধিত পরিস্থিতিতে উদ্বেগে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু আর দিল্লি কোনও পরীক্ষা আয়োজনের অবস্থায় নেই। এটাও মন্ত্রককে স্পষ্ট করেছে রাজ্যগুলি। তাই সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাকি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিবিএসই’র পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত আদালতকে জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। আইএসসি’র পক্ষ থেকে আইনজীবী জয়দ্বীপ গুপ্তা সুপ্রিম কোর্টে জানান, তিনি সিবিএসই’র সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন আর সে জন্যই আইএসসি’র পরীক্ষাও বাতিল করার পথেই হাঁটছে বোর্ড। এই মর্মে খুব দ্রুতই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পরীক্ষার্থীদের কাছে কোনও বিকল্প কি রাখছে বোর্ড? নাকি অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত হবে রেজাল্ট? জবাবে সিবিএসই জানিয়েছে, একমাত্র দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা পরে বাকি পরীক্ষা দিতে পারবে। এমন বিকল্প থাকছে। দশম শ্রেণীর জন্য একমাত্র উত্তর–পূর্ব দিল্লির পড়ুয়াদের পরীক্ষা বাকি রয়েছে। দিল্লি হিংসার কারণে তখন স্থগিত রাখা হয়েছিল পরীক্ষা গ্রহণ। তবে সেই পরীক্ষা বাতিল হওয়ার জেরে শেষ তিনটি পরীক্ষার মূল্যায়নের ওপর চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হবে।
পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের একাংশ সর্বোচ্চ আদালতে আর্জি জানিয়েছিল, দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরীক্ষা গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হোক। ভিডিও কনফারেন্সের মারফত সেই মামলার শুনানি হয়। তাঁদের আবেদনে দাবি করা হয়, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে বা ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ নম্বরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পড়ুয়াদের পরীক্ষায় নম্বর দেওয়া হোক। সিবিএসই এই সিদ্ধান্ত জানানোর অব্যবহিত পরেই আইসিএসই–ও জানিয়ে দেয়, তারাও একই পথেই হাঁটবে। তাদের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়।