জেলা রাজ্য

ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠিয়েছে আইসিএমআর!‌

করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিটে ত্রুটি রয়েছে। আর তাই ভুল ফল আসছে। টুইট করে এই অভিযোগ জানায় স্বাস্থ্য দপ্তর। আইসিএমআর ত্রুটিপূর্ণ টেস্ট কিট পাঠিয়েছে বলেই কোভিড–১৯–এর পরীক্ষায় বিলম্ব হচ্ছে। সোয়্যাব পরীক্ষায় দেরির কারণ বিস্তারিত জানিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দপ্তর একগুচ্ছ টুইটে অভিযোগ করেছে। নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্তকে সরকারের টুইটগুলি পাঠানো হয়েছিল। সেই টুইটের জবাবে নাইসেড অধিকর্তা লিখিতভাবে জানান, সমস্যাটি আইসিএমআর গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তারা এটা জানে। ইউএস থেকে স্ট্যান্ডার্ড কিটের সরঞ্জাম আসত পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি অর্থাৎ এনআইভি–তে। এনআইভি সেই কিটগুলোকে অ্যাসেম্বল করত বিভিন্ন রিএজেন্ট ও কন্ট্রোলের মাধ্যমে। তারপর বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে কিটগুলি সরাসরি তারা সরবরাহ করত।
সোশ্যাল মিডিয়াতে অভিযোগ করা হচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গে সোয়্যাব পরীক্ষায় দেরি হচ্ছে। তার কারণ হল দু’‌সপ্তাহ আগে আইসিএমআর–নাইসেড যে টেস্টিং কিট সরবরাহ করেছিল তাতে প্রচুর অসমাপ্ত ফলাফল আসছে। নির্দিষ্ট রিপোর্ট পেতে বারবার পরীক্ষা করতে হচ্ছে। আইসিএমআর–নাইসেডের কলকাতা শাখার পাঠানো ত্রুটিপূর্ণ টেস্টিং কিটের কারণেই চূড়ান্ত রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ১০,০০০ র‌্যান্ডম টেস্টিং কিট এসে পৌঁছেছে। ওইসব কিট দিয়ে সোমবার থেকেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট। রাজ্যের হটস্পট এলাকা, ক্লাস্টার এলাকায় ওই কিট দিয়ে পরীক্ষা চালাবে রাজ্য সরকার। র‌্যাপিড কিট দিয়ে হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে।
আইসিএমআর–কে আবেদন জানিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের টুইট, ‘‌যখন আমরা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়ছি তখন এটা অত্যন্ত সমস্যার। আইসিএমআর–এর এই ব্যাপারটা অবিলম্বে খতিয়ে দেখা উচিত।’‌ স্বাস্থ্য দপ্তর বলেছে, এর আগে পুনের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজির পাঠানো কিটে কোনও সমস্যা ছিল না।‌ র‌্যাপিড টেস্টে কী হবে? মূলত এই র‌্যাপিড টেস্টে করোনা ধরা পড়ে না। কিন্তু রক্তে এক ধরনের অ্যান্টিবডির উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। দেহে কোনও ভাইরাসের আক্রমণ হলে দেহের মধ্যে নিজে থেকেই একটি ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এখন সেই ধরনের কোনও অ্যান্টিবডি পাওয়া গেলে বুঝতে হবে কোনও ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ রয়েছে। তখন ওই রোগীকে আলাদা করা হবে অন্যদের থেকে।