দেশ ব্রেকিং নিউজ

‘‌শিশুদের ভ্যাকসিন জরুরি নয়’‌

স্কুলে যাওয়ার জন্য পড়ুয়াদের টিকা না নিলেও চলবে। অভিভাবক শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের টিকাকরণই যথেষ্ট। তৃতীয় ঢেউ নিয়ে দেশজুড়ে আতঙ্কের মধ্যে এই স্বস্তির কথা শোনাল কেন্দ্র। সরকারের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ বিনোদকুমার পল স্পষ্টই জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি সম্পূর্ণভাবে কোভিড বিধি মেনে চলে, তাহলে করোনা ভ্যাকসিন শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নয়। বাকিদের টিকাকরণ হয়ে থাকলে নির্দ্বিধায় স্কুল খোলা যাবে।

স্কুল খোলা নিয়ে চর্চা এখন দেশজুড়ে। বহু রাজ্য ইতিমধ্যেই ধাপে ধাপে স্কুল খুলতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও জানিয়েছে, পরিস্থিতি ঠিক থাকলে পুজোর পর ভাবনাচিন্তা করা হবে। ইতিমধ্যেই জোরকদমে চলছে ভ্যাকসিন অভিযান। সংক্রমণ রোখার গ্যারান্টি না থাকলেও সঠিক সময়ে টিকাকরণ যে মৃত্যু রুখবে, সে কথা হলফ করে বলছে আইসিএমআরের রিপোর্ট। কেন্দ্র চাইছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে দেশবাসীর মনে যেন দ্বিধা না থাকে। এদিনই তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, টিকা নেওয়াটা জরুরি। বিশেষ করে সামনেই যখন উৎসবের মরশুম।

টিকা নেওয়ার পরেও কোভিড সংক্রমণ হচ্ছে। যাকে বলা হচ্ছে, ‘ব্রেক থ্রু’। তাই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর আইসিএমআর পর্যালোচনা করছে, টিকা আদৌ কতটা কার্যকরী? দেশের এই সর্বোচ্চ মেডিক্যাল গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ডাঃ বলরাম ভার্গব বলেন, ‘‌যাঁরা ভ্যাকসিন নেননি আর যাঁরা নিয়েছেন, তথ্য বিচার করে তাদের মধ্যে ফারাকটা ধরা হয়েছে।’‌

তবে ভ্যাকসিন থেকে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কিছু অভিযোগ আসছে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তৈরি জাতীয় কমিটির রিপোর্ট উদ্বেগজনক। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৮৮ জনের গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণ বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রের ওই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি একটি রিপোর্ট দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনের কারণে ৩৭ জনের গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ভর্তি হতে হয়েছে হাসপাতালে। কারও দেখা গিয়েছে অ্যানাফাইলাক্সিসের মতো সাংঘাতিক অ্যালার্জি, ধুম জ্বর, প্রবল বমি, তলপেটে যন্ত্রণা। আবার ২২ জনের মধ্যে দেখা গিয়েছে উৎকণ্ঠাজনিত সমস্যা। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও যে পাঁচজনের মৃত্যুর অভিযোগ এসেছে, তাঁদের প্রাণহানির কারণ টিকা নয়।