তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে উঠে এসেছিল মাস্ক পরার কথা। নির্দেশ দেন, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তাঁর এই নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি’র এক মন্ত্রী বললেন, তিনি কখনও মাস্ক পরেন না। আর সঙ্গে সঙ্গে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল।
নরেন্দ্র মোদী বুধবারও বলেছেন, ‘ভবিষ্যত্ জীবনে সবাইকে ফেস মাস্ক পরায় অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে।’ আর তাঁর দলের নেতা রাজ্যের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে নস্যাৎ করে বলেন, ‘আমি কখনও কোনও অনুষ্ঠানে ফেস মাস্ক পরিনি।’ এই মন্তব্যই ঝড় তুলে দেয়।
তবে ঠিক কী ঘটেছিল? বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের সবার মুখে মাস্ক। নেই শুধু মন্ত্রীর। কিন্তু মাস্ক নেই কেন? এই প্রশ্নে নরোত্তম মিশ্রের সটান জবাব, ‘আমি ওইসব মাস্ক–ফাস্ক পরি না।’ মন্ত্রীর কথা শুনে হতভম্ব সাংবাদিকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সকলের জন্য যে গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছে, তা হেলায় উড়িয়ে দিচ্ছেন বিজেপি’র এক মন্ত্রী? উঠছে প্রশ্ন। শাসকদলের একজন মন্ত্রী যদি সরকারি নিয়মকে উপেক্ষা করে মাস্ক পরতে অস্বীকার করেন, তা হলে সাধারণ মানুষ কেন গাইডলাইন মেনে চলবে? নেটপাড়ায় এখন এটাই প্রশ্ন।
কিছুদিন আগে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, করোনা চলে গিয়েছে দেশ থেকে। যেখানে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ভারত জায়গা করে নিয়েছে। তবে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা ট্যুইট বার্তায় জানতে চান, মিশ্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন, এমন কি কেউ আছেন? পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঢোঁক গেলেন তিনি। পরে নরোত্তম মিশ্র সাফাই দেন, ‘আমি সাধারণত মাস্ক পরি। কিন্তু, বেশিক্ষণ পরে থাকতে পারি না। পলিপাসের সমস্যা রয়েছে। বেশিক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। এমন কথা বলার জন্য দুঃখিত। নিজে তো মাস্ক পরবই। এবার সবাইকে অনুরোধ করব মাস্ক পরার।’ তখন হাসির রোল ওঠে নেটপাড়ায়।