রাজ্য লিড নিউজ

তৃণমূলের সঙ্গে আমি নিজেও সৌজন্য রেখেছি: দিলীপ ঘোষ

শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার দিলীপ ঘোষ। রাজনৈতিক সৌজন্য প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। “তৃণমূলের সঙ্গে আমি নিজেও সৌজন্য রেখেছি৷” -শনিবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অকপটে স্বীকার করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ৷

শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার ঘরে গিয়ে কথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কারোর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে৷ বিধানসভা একটা সৌজন্যের জায়গা৷ ওখানে সাংবিধানিক একটা ব্যবস্থা আছে৷ তাই ওখানে বিরোধী দলের সবাই একসঙ্গে বসে কথা বলে৷ তাই আমার বিষয়টিতে অন্যায় কিছু মনে হয়নি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রস্তাব দিয়েছেন, চলুন সবাই মিলে দিল্লি যাই৷ আর সেখান থেকে টাকা নিয়ে আসি৷ আমরা দরবার করে টাকা নিয়ে আসব, আপনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করবেন, দলের লোকেদের লালন-পালন করবেন এটা তো হতে পারে না৷ এই কথায় আমার আপত্তি আছে৷ এই কথাটা কতটা ঠিক সেটা দল বলবে৷”

শিক্ষক দুর্নীতি প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, “আমার জামানায় কিছু হয়নি৷” কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে তাঁর সময়ে আসন সংখ্যা বেড়েছিল৷ এই প্রসঙ্গ বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, “যবে যাই হোক না কেন বা যেই করুক সবই আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছায় হয়েছে। ওনার ইচ্ছে ছাড়া এরাজ্যে গাছের পাতা নড়ে না। এমনকি নেতা-মন্ত্রীরা ওনার ইচ্ছে ছাড়া প্রস্রাব, পায়খানা করেন না। যদি কেউ বলে, আধিকারিকরা সব করেছেন উনি কিছু জানেন না, সেই কথা হজম করা মুশকিল। ওপর থেকে সিগন্যাল এসেছে, তাই নীচের তলার লোকেদের ইডি, সিবিআই ডাকছে।”