রাজ্য

নাইট কার্ফু উড়িয়ে খাস কলকাতায় হুক্কাবার, গ্রেপ্তার ১০

কোভিড বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছিল হুক্কা বার। রাত যত বাড়ত, এই বারে ভিড়ও তত বাড়ত। তরুণ–তরুণীরাই ভিড় জমাত এখানে। হুঁকোর সঙ্গে চলত মদ্যপান ও খাওয়াদাওয়া। মাঝরাতে ভবানীপুর এলাকার দু’টি হুক্কা বারে যখন মোচ্ছব তুঙ্গে, তখনই সেখানে হানা দেন স্থানীয় থানার পুলিশ অফিসাররা। পুলিশ দেখেই বারের কর্মীরা পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চারদিক পুলিশ ঘিরে ফেলায় তাঁরা পালাতে পারেননি। দু’টি হুক্কা বার থেকে মোট ১০ জনকে পাকড়াও করা হয়।

সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাত ৮টার মধ্যে সব ধরনের বার বন্ধ করতে হবে। তারপরেও যদি কোনও বার খোলা থাকে, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতার বিভিন্ন থানা রাত ৮টার পর বার ও রেস্তরাঁর উপর বাড়তি নজর রাখছে। রাতে ভবানীপুর থানায় খবর আসে, এলগীন রোড ও অ্যাস্টন রোডে দু’টি হুক্কা বার খোলা রয়েছে। ওই হুক্কা বারের সামনে অনেক গাড়ি পার্ক করা রয়েছে। ভিতরে ভিড় করে রয়েছেন অসংখ্য তরুণ-তরুণী।

তখনই ভবানীপুর থানার অফিসাররা দু’টি টিমে ভাগ হয়ে সেখানে হানা দেন। তখন রাত প্রায় সাড়ে ১২টা হবে। তাঁরা হুক্কা বারের ভিতরে ঢুকে দেখেন, বিভিন্ন টেবিলে উড়ছে হুঁকোর ধোঁয়া। খাবারের প্লেটও পড়ে রয়েছে। ভিড় করে রয়েছে তরুণ–তরুণীরা। কোভিড বিধি লাটে। হুক্কা বার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অ্যাস্টন রোডের হুক্কা বার থেকে ধরা হয় সাতজনকে। যদিও দু’টি বারের মালিকই পলাতক। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, কোভিড বিধি উপেক্ষা করে অনেকদিন ধরেই এই কাণ্ড চলছে। পুলিশি নজর এড়াতে সামনের গেট শুধু বন্ধ করে দেওয়া হতো। পিছনের গেট দিয়েই গ্রাহকদের ঢোকানো হতো। দক্ষিণ কলকাতার আরও কয়েকটি হুক্কা বার নিয়ে খোঁজখবর চালাচ্ছে পুলিশ।