নয়া কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভের প্রভাব সবচেয়ে বেশি যে রাজ্যে পড়েছে, তা হল পাঞ্জাব। আর সেই পাঞ্জাবের পুর নির্বাচনে বড় জয় পেল কংগ্রেস। কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল বিজেপি–আপ–সহ অন্য বিরোধীরা। আর হতাশাজনক ফলাফল অকালি দলেরও। সেই সুবাদে আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে পাঞ্জাবে নিজেদের পায়ের তলার জমি আরও শক্ত করল কংগ্রেস।
গত রবিবার পাঞ্জাবের মোট ১১৭টি পুরসভা এবং পুরনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। তার মধ্যে ৮টি ছিল পুরনিগম, বাকি ১০৯টি পুরসভা। সব মিলিয়ে ২ হাজার ৩০২টি আসনে লড়াই করেছেন ৯ হাজার ২২২ জন প্রার্থী। আপাতত পুরোপুরি দাপট দেখিয়েছে কংগ্রেস। এমনকী ভাতিন্দা, কাপুরথালা, হোশিয়ারপুর, পাঠানকোট পুরনিগমে জিতে গিয়েছে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের দল।
বুধবার ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে প্রত্যাশিতভাবেই কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়জয়কার হচ্ছে। ৫৩ বছর পর এই পুরনিগমটি দখল করল হাত শিবির। ভাতিন্ডা এমনিতে অকালি দলের গড় হিসেবে পরিচিত। এই কেন্দ্র থেকেই সাংসদ হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। শুধু পুরনিগমগুলি নয়, রাজ্যের অধিকাংশ পুরসভাও দখল করার পথে হাত শিবির। তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তার কেন্দ্রবিন্দু পাঞ্জাব। তার ফলে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে যে ভাবাবেগ তৈরি হয়েছে, তার সুফল পেয়েছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয় বিজেপি–বিরোধী হাওয়া এতটাই তীব্র ছিল যে রীতিমতো ভরাডুবির মুখে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
আগামী বছরই পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পুরনিগমের এই ফল কংগ্রেসের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ভোটাররা ভোটে কার্যত নিজেদের ‘রাগ’ উগরে দিয়েছেন। পাশাপাশি কৃষি আইন মতবিরোধের জন্য এনডিএ থেকে বেরিয়ে এসেছে শিরোমণি অকালি দল। ফলে একা লড়াই করে দাঁত ফোটানোর কোনও সুযোগ পায়নি বিজেপি।