জেলা রাজ্য

অপসারিত পুর–কমিশনার, কড়া নবান্ন

হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল নবান্ন। বেলিলিয়াস রোডে ঘটনার রাতেই সরিয়ে দেওয়া হল পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণাকে। এই ঘটনা যে ঘটবে তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। কারণ হাওড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তরা কেউ রেহাই পাবে না। তাদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে রাজ্য পুলিশ টুইট করেছিল। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিটুইট আরও বিষয়টি জোরালো করেছিল।
ঠিক কী ঘটেছিল?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার কন্টেইনমেন্ট জোন বেলিলিয়াস রোডে বাধা পায় পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে বেলিলিয়াস রোডে একটি বাজারে ফল কিনতে অনেক মানুষের জমায়েত হয়। রেড জোন হাওড়ার ওই এলাকাতেও লকডাউন চলছে। ওই জমায়েত দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায় জনতা। পুলিশের ওপর হামলা শুরু করে। পাথর ছোঁড়া হয় থেকে শুরু করে ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের দুটি গাড়ি।
তারপর কী হল?‌ রাত ১১টা নাগাদ নবান্নের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক ধবল জৈন আপাতত পুর কমিশনার পদের দায়িত্বও সামলাবেন। আর বিজিন কৃষ্ণাকে পাঠানো হয়েছে প্রাণী সম্পদ দপ্তরের যুগ্ম সচিবের দায়িত্বে। এই ঘটনায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, টিকিয়াপাড়ার ঘটনা পূর্ব–পরিকল্পিত। এটা একটা চক্রান্ত। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দোষীদের খুঁজে বের করতে। টিকিয়াপাড়া শান্তিপ্রিয় এলাকা এখানে এধরনের ঘটনা কাম্য নয়।
পরিস্থিতি কিভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, র‌্যাফ নামাতে বাধ্য হতে হয়। প্রথমে র‌্যাফকে ঘিরে ধরে জনতা। পরে তাড়াও করে। এই খবর শুনে হাওড়া থানা ও ব্যাঁটরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় সেখানে। পুলিশকে এক স্থানীয় বাসিন্দা পেছন থেকে লাথি মারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি। তা ঘিরে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি উঠে।