Epidemics are going on all over the world. In this period it is very dangerous for your parents if their age is more than 60 years
লাইফস্টাইল

এসময়ে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের যত্ন নেবেন যেভাবে

করোনাভাইরাসের মহামারি চলছে। আর এই সময়ে আপনার বাবা-মায়ের বয়সে যদি ষাট বা তার উপরে হয় তাহলে তাঁদের জন্য এই সময়টা খুবই বিপদজনক। কারণটা আর কিছুই না, সেই মরণ ভাইরাস করোনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে সরকার- প্রশাসন প্রত্যেকেই সতর্ক করেছে যে সাধারণত ৫০ পার করেছে যাদের বয়স তাঁদের এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সাবধানে থাকতে হবে। কারণ এই বয়সী মানুষের জন্যই করোনা বেশি ক্ষতিকারক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত যেসব মানুষের হার্ট, সুগার, ব্লাড প্রেশারের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগ থাকে তাঁদের জন্য এই মারণ ভাইরাস অত্যন্ত ক্ষতিকারক বলে প্রতিপন্ন হয়। সাধারণত ৫০ পার করা অধিকাংশ মানুষেরই এই সমস্ত শারীরিক সমস্যা থাকায় তাঁদের ক্ষেত্রে বেশি বিপদজনক এই ভাইরাস। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিশ্বে এমনকি আমাদের দেশেও যারা এই মারণ ভাইরাসে মারা গিয়েছেন তাঁদের অধিকাংশের বয়স ৫০-এর উপরে। আর তাই এই সময়ে আপনার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের জন্য কিছুটা সর্তকতা অবলম্বন করা খুবই প্রয়োজনীয়। কিভাবে? আসুন জেনে নিই।

বাইরে বের হতে দেবেন না
লকডাউনে এই পরিস্থিতি ক্রমে প্রত্যেকের কাছেই অত্যন্ত দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। কিন্তু কোনো উপায় নেই। এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পেতে এটাই একমাত্র পথ। আর তাই বাড়ির বয়স্ক মানুষদের এই সময় একেবারেই বাড়ির বাইরে বের হতে দেবেন না। এক্ষেত্রে তাঁরা অনেক সময় বাড়ির ভিতরে একভাবে থাকতে থাকতে বিরক্তবোধ করতে পারেন। খিটখিটে হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু তাঁদের আরও নানা উপায়ে মন ভালো রাখার চেষ্টা করুন। খেয়াল রাখুন তাঁরা বাড়ির বাইরে যেন কোনোভাবেই পা রাখতে না পারে।

স্যানিটাইজেশন
বাড়ির বাইরে না গেলেও বাড়ির বিভিন্ন জায়গা প্রত্যেকদিন ‘স্যানিটাইজ’ করা খুব দরকার। কারণ বাড়ির যে সমস্ত জিনিস আমরা প্রত্যেকে স্পর্শ করি সেগুলো যদি জীবাণুমুক্ত না থাকে তাহলে বাড়ির ভিতরে বসেও মানুষ খুব সহজেই মারণ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই বাড়ির বাথরুম, দরজার হাতল, টেবিল-চেয়ার বারবার মুছে স্যানেটাইজ করুন।

বাড়িতে কাউকে আসতে দেবেন না
আপনি যেমন বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না ঠিক তেমনি খেয়াল রাখবেন বাড়ির বাইরের কেউ যেন এই সময় বাড়িতে না আসতে পারে।

বাড়ির ভিতরে ও সামাজিক দূরত্ব মানার চেষ্টা করুন
বাড়ির মধ্যে থাকলে যে সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে না এমন কিন্তু কোথাও লেখা নেই। তাই বাড়ির মধ্যে যদি অনেকে একসঙ্গে মিলে বসবাস করেন সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

শরীরের খেয়াল রাখুন
এই সময় শরীরের খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। তাই বাড়ির বড়রা ঠিকমতো সময় ওষুধ খাচ্ছেন কিনা সেই ব্যাপারটা ভালো করে খেয়াল রাখুন। পাশাপাশি তাঁদের মন ভালো থাকার থাকছে কিনা, সেটাও লক্ষ রাখতে হবে। খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। গায়ে প্রতিদিন নিয়ম করে রোদ লাগাতে হবে এবং ঘরের মধ্যে যেন তাঁরা প্রত্যেকদিন হাঁটাচলা করে সেটা দেখতে হবে।