আমের মরশুম চলছে, ফলে বাজার ভর্তি আম। চলতি বছরেও লকডাউনের জেরে এই রাজ্যের আম অন্য রাজ্যে বা বিদেশে রফতানি করতে পারেন নি বহু ব্যবসায়ী। তাই এই বছর আমের দাম অনেকটাই কম। কিন্তু বাজারে থরে থরে সাজানো বিভিন্ন প্রজাতির আম দেখেই কিনতে ইচ্ছে করে না এমন বাঙালি বিরল। কিন্তু জানেন কি অনেক আমই রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করা হয়? যা আমাদের শরীরের পক্ষে মোটেও ভালো নয়।
আমাদের এখানে মোটামুটি ২০টি প্রজাতির আম পাওয়া যায়। যার মধ্যে হিমসাগর, গোপালভোগ, মোহনভোগ, লক্ষ্মণভোগ, ক্ষিরসাপাত, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি, হাঁড়িভাঙ্গা, বারি-৪ ও বোম্বাই আম বেশি জনপ্রিয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সময়ের আগে গাছ থেকে আম পেরে কার্বাইট দিয়ে পাকিয়ে তবে বাজারে পাঠানো হয়। তাহলে বাজার থেকে আম কেনার আগে বুঝবেন কিভাবে সেগুলো রাসায়নিক দিয়ে পাকানো কিনা? কয়েকটি সহজ বিষয় খেয়াল করলেই ধরতে পারবেন সেই আম গাছ পাকা নাকি কার্বাইট দিয়ে পাকানো?
বাজারে থরে থরে সাজানো আমে দেখুন কোনগুলোতে মাছি বসছে। গাছ পাকা আমে মাছি ভনভন করবেই। কার্বাইটে পাকানো আমে মাছি বসবেই না।
ভালো করে দেখে নিন আমে দাগ বা ছোপ আছে কিনা। গাছ পাকা আমের রস থেকে কালচে দাগ বা ছোপ পরে। কিন্তু কার্বাইটে পাকানো আম নিটোল ও দাগহীন হয়। কারণ কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফর্মালিন ও কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়।
রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হলে আমের ত্বক মসৃণ ও সুন্দর হয়। অপরদিকে গাছ পাকা আম হলে আমের ত্বকে কালো কালো দাগ পড়ে।
আবার হিমসাগর আমের ক্ষেত্রে কৃত্রিম রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আমের গায়ে হলুদ রঙের মাঝে মাঝে সবুজ ছাপ দেখতে পাবেন। আর স্বাভাবিক ভাবে পাকা আমের রং নিখুঁত হলুদ হবে।
আম কেনার সময় নাকের কাছে নিয়ে গিয়ে গন্ধ শুকে দেখুন। বোঁটার কাছে চেনা আমের গন্ধ যদি পান সেটা গাছ পাকা আম। আর তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ কার্বাইটে পাকানো আমের হবে। আবার গাছ পাকা আম রস থাকবে ভরপুর, রাসায়নিকের আমে রস থাকবে না।
You must be logged in to post a comment.