সাধারণত ছেলেমেয়েরা বয়ঃসন্ধির সময়টাতেই বড় ধরণের ভুলগুলো করে থাকে। আর এই সময়টা তারা পরিবারের থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বেশি সময় ধরে থাকে। কারণ দিনের বেশিরভাগ সময়টা স্কুলে কাটাতে হয়। তাই এই সময়টিই বেশি চিন্তা হয়, যে আপনার সন্তানের বন্ধুটি ভালো না খারাপ। কারণ বয়ঃসন্ধির বয়সটা এমন একটা সময় যে, তারা ভালো-খারাপ বোঝার ক্ষমতা রাখে না। তাই নিজের সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনার সন্তানের বন্ধুটি ভালো না খারাপ তা জানা খুবই প্রয়োজন। কীভাবে জানবেন বন্ধুটি আপনার সন্তানের যোগ্য কিনা? এরজন্যও রয়েছে কিছু উপায়। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই উপায়গুলো-
১। পড়ালেখার প্রয়োজনে আপনার সন্তানকে দিনের বেশিরভাগ সময় ধরে স্কুলে কাটাতে হয়, আর এই সময়টা তার পাশে থাকে তার বন্ধু। আর আপনার সন্তান বন্ধুর ভালো খারাপ অনুসরণ করে থাকে। তাই হঠাৎ করে যদি আপনার সন্তান মিথ্যা বলা শুরু করে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার সন্তানটি ঠিক বন্ধুর সঙ্গে মিশছে না।
২। আপনার সন্তানের বন্ধু থাকবে এইটা স্বাভাবিক। তবে সেই বন্ধুটি যদি আপনার সন্তানের সাফল্য নিয়ে হিংসা না করে, তাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে উৎসাহ দেয়, তাহলে বুঝবেন আপনার সন্তানের বন্ধুটি ভালো। এর বিপরীত হলে বুঝবেন বন্ধুটি আপনার সন্তানের জন্য মোটেও সঠিক নয়।
৩। আপনার সন্তানের একজন ভালো বন্ধু আপনার পরিবারের ঐতিহ্য নিয়ে কথা বলবে না। কারণ একজন ভালো বন্ধু এমন কোনো কাজ করবে না যা আপনার পরিবারের ঐতিহ্যকে কটাক্ষ করে। পরিবারের বিপদ আপদে যেকোনো সম্যসায় বন্ধুটিকে যদি আপনার সন্তানের পাশে পান, তাহলে বুঝবেন আপনার সন্তানের বন্ধুটি ভালো।
৪। আপনার সন্তান কী তার ছোট ভাইবোনের সঙ্গে খেলা করছে, তাদের সঙ্গে তার প্রিয় জিনিস শেয়ার করছে? তবে নিশ্চিন্তে থাকুন, কারণ আপনার সন্তান ভালো বন্ধুদের সংস্পশেই আছে। ভালো বন্ধুই আপনার সন্তানকে পরিবারের সঙ্গে বিশেষত ছোট ভাইবোনদের সঙ্গে সময় কাটানো শেখায়। ছোট ভাইবোনকে ভালোবাসতে শেখায়।
৫। আপনার সন্তান কি হঠাৎ করে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠেছে? তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ না করলে জেদ করছে? আপনি না বলার পরও একই কাজ বার বার করছে? তবে বুঝতে হবে সে এই কাজগুলো অন্য কারোর কাছ থেকে শুনে বা দেখে করছে। অন্য দিকে প্রভাবিত হচ্ছে আপনার সন্তান।