জেলা লাইফস্টাইল

দিঘার সমুদ্রে হাউসবোট? অভিনব ভাবনা পর্যটন দফতরের

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে এমনিতেই লন্ডভন্ড দিঘা। একই পরিস্থিতি মন্দারমনি, তাজপুর সহ বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতের। এবার বাংলার অন্যতম সৈকত শহরকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের পর্যটন দফতর নতুন রূপরেখা তৈরি করছে। সম্প্রতি পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ইয়াস বিধ্বস্ত দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। বিপর্যয় কাটিয়ে আবার নতুন করে দিঘা-মন্দারমনিতে পর্যটনের জোয়ার আনা যায় সেই দিক খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম ইন্দ্রনীল সেন। সেখানেই তিনি নতুন পরিকল্পনার কথা বলেন। পর্যটকদের এবার দিঘার সমুদ্রে হাউসবোটে রাত কাটানোর মজা উপভোগ করার সুযোগ করে দিতে চায় রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের বুকে ভ্রাম্যমাণ রেস্তোরাঁ চালু করার পরিকল্পনাও করছে রাজ্যের পর্যটন দফতর। গত রবিবার পর্যটনমন্ত্রী দিঘা যান, সেখানে তিনি বৈঠক করেন হোটেল মালিকদের সঙ্গে। এরপর তিনি দিঘার সমুদ্র উপকূলে ইয়াস বিধ্বস্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেন। পরদিন সোমবার তিনি যান মন্দারমনি ও তাজপুর।

রাজ্যে অনেকটাই কমেছে করোনার দাপট। ফলে দিঘাতে পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়েছে। আশাবাদী হোটেল ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পরই নতুন পরিকল্পনার কথা জানান পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। দিঘার কাছেই নৈকালী মন্দির সংলগ্ন সমুদ্রের বুকে দু’টি হাউসবোট তৈরি করার ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার। দুটি হাউসবোটই সমুদ্রের বুকে ভাসমান থাকবে কাশ্মীরের ডাল লেকের মতো। একইসঙ্গে একটি ভাসমান রেস্তোরাঁ তৈরির পরিকল্পনা করছে পর্যটন দফতর। ফলে দিঘা ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যটকদের জন্য আমোদ প্রমোদের ব্যবস্থা হবে। ফলে নতুন করে পর্যটনের জোয়ার আসবে দিঘায়।